আমাদের ভারত,৪ ফেব্রুয়ারি:মঙ্গলবার লোকসভায় লিখিত বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়ে দিলেন, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জি তৈরি করার কোন পরিকল্পনা নেয়নি মোদী সরকার।
বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রীর বিবৃতিতে এনআরসি লাগু করা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বয়ানের কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির ভোটের আগে এই সমস্যার সমাধান ঘটানোর চেষ্টা করল কেন্দ্র সরকার।
মঙ্গলবার সংসদে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদযা প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন। লোকসভার কাজ চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে অধ্যক্ষের পক্ষে। বাধ্য হয়ে সভা মুলতুবি করে দেন তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, সিএএ নিয়ে অমিত সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু তারপরেও শান্ত হননি বিরোধীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
আগের অধিবেশনে সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জোরের সঙ্গেই বলেছিলেন দেশজুড়ে আমরা সিএএ ও এনআরসি লাগু করবো। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই জানুয়ারি মাসে আবার অমিত শাহ জানিয়েছিলেন দেশজুড়ে এখনই এনআরসির লাগুর পরিকল্পনা নেই সরকারের। আর তারপর থেকেই শুরু হয় ধোঁয়াশা। গত মাসে রামলীলা ময়দানে এক সভায় প্রধানমন্ত্রীও বলেন এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি মন্ত্রিসভায়। আর এরপর এই ধোঁয়াশা আরো গাঢ় হয়। প্রশ্ন ওঠে তাহলে সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত সাহা কিভাবে এনআরসি লাগুর কথা বললেন?
এরপর আজ লিখিত বিবৃতি দিয়ে এনআরসি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান জানাল কেন্দ্র সরকার। জানানো হল সারাদেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকরের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত নেয়নি কেন্দ্র সরকার। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে “এনআরসি নিয়ে একাধিক রাজ্যে উদ্বেগে রয়েছে। বিজেপি এবং অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাদের আতঙ্ক যে অমূলক সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। সরকারের অবস্থানটাও তাদের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে।”