পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: বাংলায় উপনির্বাচন হয় না। শনিবার ডেবরায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে সদস্যতা অভিযানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধুপগুড়িতে উপনির্বাচনে আমাদের জোর করে চার হাজার ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় ওই কেন্দ্রেই কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছেন। সাধারণ নির্বাচন হলে মাদারিহাটে বিজেপি প্রার্থী ৪০ হাজার ভোটে জিতবে। এই জয় নিয়ে টকশোয়ে আপনারা আলোচনা করতে পারবেন, কিন্তু উপনির্বাচনে বাংলায় কোনো ভোটই হয় না।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মেদিনীপুরে নির্বাচনের আগের দিন বিজেপির কোনো এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। বিশেষত শালবনি ও চাঁদড়া অঞ্চলে। নির্বাচন ২৬- এ হবে এবং মহারাষ্ট্রের মতোই নির্বাচন হবে। আমি বিরোধী দলনেতা হয়ে একথা জোরের সঙ্গে বলতে পারি। তিনি বলেন, সংগঠনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমি নাক গলাই না এবং যুক্তও থাকি না। আমি শুধু একটা কথাই আমার উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে বলতে পারি, আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, গণ আন্দোলন করেছি, অনেক গণ আন্দোলন শাসক দলের নেতৃত্বে ১১ সালে হয়েছে। তাতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে কেস খেয়েছি। তাতে দুটো বিষয় আমার উপলব্ধির মধ্যে এসেছে। নির্বাচনমুখী সংগঠন এবং আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চা। এটা আমাদের করা উচিত। আমাদের হাতে মাত্র একটা বছর সময় আছে। ভোটাররা প্রস্তুত আছে। প্রত্যেকেই ২৬- এর জন্য অপেক্ষায়। এই ছ’টা আসন নিয়ে কেউ ভাবেনি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ধুপগুড়িতে এক বছর আগে বিধায়ক বিষ্ণু রায়ের প্রয়াণে পিসি, ভাইপো পুলিশকে দিয়ে দখল করে অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। অনেক বাড়ি বাড়ি কাজ, চাকরি, অনেক ঢপবাজি করে জিতেছিলেন। যখন সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, ওখানে আমরা জিতেছি কুড়ি হাজার ভোটে। মাদারিহাটের ক্ষেত্র প্রমাণ হয়ে যাবে, আমরা ২৬- এ জিতবো। শুধু মাদারিহাট নয়, নৈহাটি, তালডাংরা এবং মেদিনীপুর আসনেও ২৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে।
তিনি বলেন, হাড়োয়ায় আমরা কোনদিন জিতিনি এবং ভবিষ্যতেও জিতবো না। কারণ সেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিমরা থাকে। মুসলিমরা মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং তার জোটকে ভোট দিয়েছে। ঝাড়খন্ডেও তাই করেছে এবং সিতাই- এ চল্লিশ শতাংশ মতো মুসলিম আছে। যদিও সিতাই- এ একুশের নির্বাচনে আমাদের ভালো ফাইট হয়েছিল। সিতাই- এ আমরা লড়বো, জিতবো কিনা জানি না।
এরপর তিনি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে আমি ফাঁকা করে দিয়েছি। আমার কাঁথি পুরসভা জোর করে দখল করে মমতা ব্যানার্জির গুন্ডারা। ২২ সালে দখল করে জিতেছিল। মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আমাকে বলতেন আপনি তো নিজের এলাকায় হেরে গেছেন। কাঁথিতে লোকসভা ভোটে কী হয়েছে মানুষ দেখেছে। ২১টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টা ওয়ার্ডে বিজেপি লিড করেছে। ৫০ হাজার ভোটে আমি কাঁথিকে জিতিয়েছি।