আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৩ নভেম্বর: সর্বত্র যখন নবমীর পুজো চলছে মহা ধুমাধামের সঙ্গে তখন নলহাটির আকালীপুর শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রমে নিরঞ্জন করা হল দেবী জগদ্ধাত্রীকে। আশ্রমের দাবি, তাঁরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে পুজো করে থাকেন। সেই বৈজ্ঞানিক পঞ্জিকা মতে এদিন দশমী। তাই দেবী জগদ্ধাত্রীকে নিরঞ্জন দেওয়া হল। এদিকে শনিবার নলহাটির লোহাপুর এবং নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে পুজো শুরু করা হল।
আকালিপুর রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রমে শুক্রবার নবমীর পুজো করা হয়। এনিয়ে আশ্রমের পুরোহিত পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে চলি। ওই পঞ্জিকা বিজ্ঞান সম্মতভাবে তৈরি বলে মনে করি। তাছাড়া আমাদের আশ্রমের সমস্ত কাজ হয় বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই। সেই কারণেই আমরা এদিন দেবী জগদ্ধাত্রীকে নিরঞ্জন দিলাম”।
অন্যদিকে এবারই প্রথম পুজো শুরু করা হল লোহাপুর এবং নলহাটিতে। নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজী রোডে রক্ষাকালী মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়। সহদেব ও অলকানন্দ ফাউন্ডেশন পুজোর সূচনা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেন নলহাটির বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংহ।
পুজো উদ্যোক্তা নিরঞ্জন দত্ত বলেন, “এই এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর চল ছিল না। এইনিয়ে পাড়ার সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেছি”।
অন্যদিকে দেখুড়িয়া গ্রামে সকালে দ্বারকা নদীতে ঘট ভরে পুজো শুরু করে। লালপাড় শাড়ি পড়ে মহিলারা সুসজ্জিত হয়ে ঘট ভরে নিয়ে আসেন। ছিল আদিবাসী নৃত্য। পুজো শুরুর আগে এলাকার আদিবাসী ও দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর সময় যখন সবাই নতুন কাপড় পরে তখন এই সমস্ত মানুষগুলো ছেঁড়াফাটা কাপড় পরে ঘুরে বেড়ায়। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।