সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৮ নভেম্বর: মানব পাচার চক্রের সন্ধানে বুধবার ভোররাত থেকে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বারাসত থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার ঠাকুরনগর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
পাসপোর্টের সূত্র ধরে এদিন ভোররাতে ঠাকুরনগর হাজরাতলার আনন্দ পাড়াতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর একটি দল। ভোররাত থেকে প্রায় সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ওই বাড়িতে ছিল দলটি। সেখান থেকে বিকাশ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত এক বছর ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে এখানে ভাড়া থাকতেন বিকাশ। তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন ২০১০ সালে। প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি দোকানে মোবাইল সারানোর কাজ করতেন। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। বর্তমানে ঠাকুরনগরের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি মোবাইল সারানোর দোকান আছে তাঁর।
আটক ব্যক্তির স্ত্রী ঝর্ণা সরকার জানিয়েছেন, ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছিলেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি এই বাড়িতেই রয়েছেন স্বামীর কাছে ৷ বাংলাদেশের যশোরে তাঁর বাড়ি বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বারাসতের তিন জায়গা- চাঁপাডালি, নবপল্লি ও শালবাগানে এনআইএ’র দলের অভিযান চলে বলে খবর। নবপল্লিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতে নবপল্লির ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশপল্লির বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেবের বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। চাঁপাডালি থেকে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। যার তিনটি আলাদা নাম পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা রাজু রুদ্র। বারাসতে একটি স্কুলের সার্টিফিকেটে লেখা রাজু ধন। আবার এলাকায় শঙ্কু নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ৮-৯টি মোবাইল মিলেছে।
চাঁপাডালি মোড়ে একটি পর্যটন সংস্থার দোকানে এখনও তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে অদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এই চক্র একযোগে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তবে এর পেছনে কোনো নেতা মন্ত্রীর যোগ আছে কি না তা এখনও যানা যায়নি।