বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল নিউইয়র্কে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বী মহিলারা

আমাদের ভারত, ৩ নভেম্বর:বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল নিউইয়র্কে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বী মহিলারা। পোস্টার, ব্যানার হাতে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁরা বাংলাদেশের হিংসাত্মক ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন।

বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদকারী নিউইয়র্কের সনাতনী মহিলাদের অভিযোগ, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা পরিকল্পিত। এর পেছনে সেদেশের সরকারি মদত রয়েছে। তাদের অভিযোগ, মুসলিম জঙ্গিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে ৬ জন সনাতনীকে হত্যা করা হয়েছে, ১০ বছরের শিশু সহ একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একেবারে পরিকল্পিতভাবেই একাধিক হিন্দু প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চলেছে। সারা দেশজুড়ে পাঁচশোরও বেশি হিন্দুর বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সনাতনী প্রতিবাদকারীদের আরও অভিযোগ, এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া এবং এই ঘটনা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হয়েছে আর এর পেছনে দায়ী সেদেশের মন্ত্রী মামিন ও আনিস। তাদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই মহিলারা পথে নামেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় একটি দুর্গাপুজোর মন্ডপে বজরং বলির থাইয়ের উপর কোরান রাখা হয়েছে এই অভিযোগের অজুহাতে কয়েকশো হিন্দুর উপর নৃশংস অত্যচার চলে বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই এই খবর প্রকাশ্যে আসে। হিংসার আগুন ২২টির বেশি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক মন্ডপে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলের প্রতিমা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নোয়াখালীতে ইসকনের মন্দিরে তান্ডব চালানো হয়। এই গোটা ঘটনায় ইসকনের এক সন্ন্যাসী সহ ৬ জনকে হত্যা করা হয়। একটি ১০ বছরের শিশু সহ একাধিক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে তদন্তে দেখা যায় এক মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র কোরান হনুমানের থাইয়ের উপর রেখে এসেছিল। অথচ এর ঘটনার জন্য দেশজুড়ে সেখানকার হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *