পিন্টু কুন্ডু, আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১০ আগস্ট: দীর্ঘ বারো দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন বালুরঘাটের পেপার বিক্রেতা সুজন দাস। দীর্ঘ প্রায় ২৯ বছর ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্র বিক্রির কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। নিজের দোকানে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। অত্যন্ত মিষ্টভাষী সুজনবাবুর অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী ও পাঠকেরা।
জানা গিয়েছে, গত ২৯ তারিখ বাসস্ট্যান্ডে পেপার বিক্রির সময় অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান সুজন ওরফে নিতাই। ঘটনার পরই তাকে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা শিলিগুড়ি স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে।
প্রায় ৪০ বছর বয়সী সুজন দাস দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের যুব সংঘ পাড়ার বাসিন্দা। এলাকার সকলে তাকে নিতাই নামেই চিনতেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রের এজেন্ট থাকবার পাশাপাশি শহরের পৌর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি পানের দোকানও ছিল তার। সেখান থেকেও সংবাদপত্র বিক্রির কাজ করতেন তিনি। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের উপার্জন দিয়েই কোনও ক্রমে সংসার চলত তার। বাড়িতে স্ত্রী সহ একটি সন্তানও রয়েছে তার। এমন দুর্ঘটনা জনক মৃত্যুতে চরম শোকের ছায়া নেমে এসেছে অসহায় ওই পরিবারটিতে।
বাসস্ট্যান্ডে তার এক সহকর্মী মাধব মৈত্র জানিয়েছেন, প্রায় ২৯ বছর ধরে সংবাদপত্র বিক্রির কাজে নিযুক্ত ছিল নিতাই। একইসাথে কাজ করতেন তারা। বিভিন্ন পেপারের এজেন্ট থাকবার পাশাপাশি মানুষের বাড়িতে গিয়েও পেপার বিলি করতো নিতাই। তার এমন অকাল মৃত্যু কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছেন না।