আমাদের ভারত, ১২ সেপ্টেম্বর: ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি হবে। ওই বছর থেকেই কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্কুলের ছাত্রদের পাঠক্রম শুরু করে দেওয়ার ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি নতুন শিক্ষানীতিতে মার্কশিটের ভূমিকা তুলে দেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেছেন তিনি।
মোদীর কথায় মার্কশিট ক্রমেই প্রেসারশিটে পরিণত হয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের কাছে প্রেস্টিজশিট। তাই নতুন শিক্ষানীতিতে মার্কশিট ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
তিনি জানান, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস কমিয়ে দেবে। মজার ছলে পূর্ণ অভিজ্ঞতায় ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করবে। ২০২২ সালের মধ্যেই কার্যকর হবে নতুন পাঠক্রম। কারণ ঐ বছরই ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। শনিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আয়োজিত স্কুল এডুকেশন কনক্লেভে মোদী জানান, নতুন শিক্ষানীতি হবে বাস্তবসম্মত ও বৈজ্ঞানিক। পড়ুয়াদের স্কিল, চিন্তাশক্তি উদ্ভাবনী ক্ষমতা, কমিউনিকেশনের বাড়াবে। জানার ইচ্ছা বাড়বে এই নতুন শিক্ষানীতিতে।
নতুন শিক্ষা নীতি কার্যকর করা নিয়ে এখনো পর্যন্ত দেশ-বিদেশের শিক্ষকদের থেকে প্রায় ১৫লক্ষ পরামর্শ পেয়েছে কেন্দ্র সরকার । সেগুলি মাই গভঃ অ্যাপে আপলোড করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়াশোনার বিষয়ে মোদীর বক্তব্য ছিল, ভাষা শুধু শিক্ষার একটি মাধ্যম, শিক্ষা নয়।
এর আগে গত সোমবার শিক্ষানীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, দেশের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণের জন্য শিক্ষানীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার জরুরী। কেন্দ্র-রাজ্য সহ স্থানীয় প্রশাসন সবারই শিক্ষা ব্যবস্থায় দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক শিক্ষানীতিতে সরকারের নাক গলানো বেশি পরিমাণে বা হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। প্রতিরক্ষা বা বিদেশ নীতি যেমন রাষ্ট্রের, সরকারের নয়। ঠিক তেমনি শিক্ষানীতিও রাষ্ট্রের। তাই সবার এতে দায়িত্বে রয়েছে। তাই নতুন শিক্ষা নীতি কার্যকর করার জন্য সকলের একসঙ্গে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।