আমাদের ভারত, ২৩ এপ্রিল: পেহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার কারণে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেল ভারত-পাক সম্পর্ক। জঙ্গি হামলায় প্রত্যাঘাতের পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানকে ভাতে মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি।
বুধবার বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করা হলো। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হলো আটারী সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ভারত। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেশে ফেরানো হবে।
ভারতে বর্তমানে যে সমস্ত পাকিস্তানিরা রয়েছে তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ সচিব। পর্যটকদের উপর হামলার পরে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে বৈঠক চলে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শঙ্কর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ছিলেন এই বৈঠকে।
দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব। তিনি বলেন, তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মিশ্রি জানান, এই মুহূর্ত থেকে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করা হলো। যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাবে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না। এছাড়াও অবিলম্বে বন্ধ করা হবে ওয়াঘা, আটারী সীমান্ত। বৈধ কারণে যারা ওই পথ দিয়ে গিয়েছেন তাদের ১ মে-র মধ্যে ভারতে ফিরতে হবে। আগামী দিনে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করলো ভারত। বর্তমানে যেসব পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। এছাড়া ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের হাইকমিশন থেকেই সরিয়ে নেওয়া হবে সামরিক পরামর্শদাতাদের। পাক হাই কমিশনের এই পদগুলি পার্সোনাল নন গ্রাটা বলে ঘোষণা করা হলো নয়া দিল্লির তরফে।
পেহেলগাঁও হামলার আবহে প্রত্যেক বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ সচিব জানান, হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। তাহাউর রানার প্রত্যার্পণের উদাহরণ দিয়ে বিদেশ সচিব বলেন, যারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের দমন চালিয়ে যাবে ভারত।