আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি: “সন্দেশখালি-কাণ্ডে হাইকোর্টের সপাটে একটা চড় রাজীব কুমার আর নবান্নের ওই মহিলাকে।” ঘটনার নেপথ্য কাহিনী সমাজমাধ্যমে জানালেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পোস্ট করার ২ ঘন্টার মধ্যে, বেলা তিনটায় ১ হাজার লাইক ও ৫৩টি মন্তব্য আসে।
সন্ময় লিখেছেন, “মহিলাকে সপাটে চড়। শুনতে খারাপ লাগে। তাই লিখছি নবান্নকে এবং ডিজি রাজীব কুমারের ফাজলামিকে। এমন একটা সপাটে চড় মারলো হাইকোর্টের রায়।
কাল রাতেই শুভেন্দুর কাছে পুলিশ ফোন করে জানিয়েছিল, “স্যার আপনি ভোরে না বেরিয়ে ১১টায় বেরোন”। শুভেন্দুবাবু বুঝেছিলেন, ১১টায় হাইকোর্টে প্রধানের ঘরে স্টে অর্ডার চাইবে নবান্ন এবং রাজীব কুমার। তাই পুলিশকে হতচকিত করে আজ সকাল ৮টায় বেরিয়ে পড়েন, সঙ্গে শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে। পুলিশ খবর পেয়েই ধামাখালিতে আটকে দেয় শুভেন্দু অধিকারীকে। পুলিশ বলে, রাজ্য স্টে চাইতে আদালতে গেছে। ওদিকে শুভেন্দুবাবু পাল্টা বলেন, আমার হাতে কোর্টের পারমিশন আছে, তাহলে কেন যেতে দেবেন না? পুলিশ নীরব থাকে, কিন্তু পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকে পাঞ্জাবি অফিসার। পুলিশকে এক ঘন্টা সময় দিয়ে মাটিতে বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। ওদিকে নদীতে নৌকায় বসে অবস্থা দেখতে থাকেন আইপিএস সুপ্রতিম সরকাররা আর প্রভু রাজীব কুমারকে নিশ্চিত ভাবেই রিপোর্ট দিতে থাকেন মিনিটে মিনিটে।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী হাইকোর্টে ততক্ষণে জানান, বসিরহাট পুলিশকে দিয়ে মমতা – রাজীবের কীর্তি। আদালতের দেওয়া অনুমতি তাঁরা মানতে চাইছে না। এরপরেই হাইকোর্টের সপাটে একটা চড় রাজীব কুমার আর নবান্নের ওই মহিলাকে।
সুর সুর করে ল্যাজ গুটিয়ে বসিরহাট পুলিশ এরপর স্যালুট ঠুকতে ঠুকতে নিয়ে যেতে থাকে শুভেন্দু এবং শঙ্করকে সন্দেশখালির পথে।”