আমাদের ভারত, ৩ জানুয়ারি: আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নিয়ে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। তা উপভোগ করছে বিরোধী দলগুলো এবং আমজনতার একাংশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের ‘ঐক্য’ সংকটে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। এবার তৃণমূল দলে আদি এবং নব্য কারা? নতুন করে চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই একটি ব্যঙ্গাত্মক চিত্রের সাহায্যে তিনি দেখান, আদি এবং নব্য তৃণমূল বলতে কী বোঝায়। আদতে চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন তৃণমূলকে।
চিত্রে দেখা যাচ্ছে নবীনের দলে রয়েছে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া নেতারা। অন্যদিকে, প্রবীণের দলে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা। পাশাপাশি শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ‘তোলামূলের দুই ভাগ, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, তোলামূলের আপাদমস্তক সবাই চোর!’
ফেসবুকে পোস্ট করার দু’ঘন্টা বাদে বেলা পৌনে তিনটেয় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪০০, ২৩৩ ও ১৪৯।
অনুপ ঘোষ লিখেছেন, “মাননীয়ার শেষের সেদিন আগত প্রায়। আবার বলছি মাননীয়া গ্রেফতার হবেই। ইডি, সিবিআই কখনও চুপ ছিল না। এটা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস শুধু নয়, সমস্ত রকমের এভিডেন্স, তথ্যগুলি হাতে আসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ ভয়ঙ্কর হাড়-হিম করা দুর্নীতি কোনো রাজ্য সরকারের আমলে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।” অপর মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূলের রাজ্যতে বাংলায় মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে।”
যিষ্ণু নায়েক লিখেছেন, “তৃণমূল মানে কী? চোর। তাই চোর ধরো জেল ভরো।” সুজিত রায়চৌধুরী লিখেছেন, “সবার পরিণতি এই হবে।” রাজীব মুখার্জি লিখেছেন, “পুরো রাজ্যটিকে সবদিক দিয়েই একেবারে শেষ করে ছেড়েছেন মাননীয়া।” জয়দেব মাইতি লিখেছেন, “চোরেদের শাস্তি হচ্ছে না, জনগণের মোহভঙ্গ হচ্ছে।”
রাকেশ ঘোষ লিখেছেন, “দলটির নাম তৃণমূল। এখানে না আছে কোনও শৃঙ্খলা, না আছে কোনও আইন-কানুন, না আছে কোনও সুস্থ মানুষ। চোর, ডাকাত, লোপাটকারী, ছিনতাইবাজ, যতো রকমের হুলিগান্সদের সমন্বয় ফলত যা ঘটবার তাই,ই ঘটছে। তার প্রভাবও পড়ছে সরকারে এবং সমাজ জীবনে।
#তৃণমুল_হটাও #পশ্চিমবঙ্গ_বাঁচাও।”
অপর মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “বাংলার মানুষের ঘাম, রক্ত, স্বপ্ন যারা লুটে খেতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই।” তৃতীয় মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “সর্বগ্রাসী যন্ত্রণা, অন্যায়- অত্যাচার এবং দমবন্ধ করা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে চলবে।”

