Chandrachud, Bungalow, চন্দ্রচূড়ের সরকারি বাংলো না ছাড়ার সাফাই নিয়ে প্রশ্ন নেটনাগরিকদের

আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর। কিন্তু সরকারি বাংলো ছাড়েননি এখনও। বাসভবন খালি করানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে আসার পর থেকে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। ফেসবুকে পোস্ট আসার ৩ ঘন্টায়, রবিবার রাত ১১টায় ১৭৭টি প্রতিক্রিয়া এসেছে। নেটনাগরিকরা তাঁদের ক্ষোভের ডালা উপুর করে দিচ্ছেন।

এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সাফাই, ‘কিছু ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত বাড়ি খুঁজে পাননি প্রাক্তন বিচারপতি। দ্বিতীয়ত, তাঁর দুই মেয়ে অসুস্থ। দিল্লির এইমসে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

প্রতিক্রিয়ায় পার্থসারথী ভট্টাচার্য লিখেছেন, “সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়েও বলছি বিচার প্রার্থীদের অনেক অসুবিধা এবং প্রতিকূলতা থাকে কিন্তু তারিখের পর তারিখ পেতে থাকে। আইন আদালতের চক্করে পরে জীবন, যৌবন, অর্থ, সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরে।”

রাজু মাজি লিখেছেন, “পাপ তুমি যতই লুকিয়ে করো না কেন, শাস্তি তোমাদের সবাইকে আর সামনে পেতে হবে। এইটা কিন্তু মহাভারতে লেখা আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এই কী হয়েছে এখনো অনেক কিছু হবে মিঃ চানাচুর বাবু।” পল্লবী দাস ঘোষ লিখেছেন, “সব পাপের শাস্তি এই জন্মে হয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে সেই পাপের ভাগিদার হিসেবে পরিবার শাস্তি পায়। একদিন অভয়ার মা- বাবা চোখের জল ফেলেছিল, আস্তে আস্তে তার দাম সবাইকে দিতে হবে।”

সৌরভ বেরা লিখেছেন, “দিদিভাই দারুণ কথা বলেছেন। এই লোকটি দায়িত্বে থাকাকালীন যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করে গেছেন তার ফল ওনাকে পেতে হবেই।” মধুমিতা পাল লিখেছেন, “অভয়াও কারো মেয়ে ছিল।” অরুণ দাস লিখেছেন, “বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না?” কল্যাণ সরকার লিখেছেন, “মেয়েরা নয়, চন্দ্রবোড়া নিজে হাসপাতালে থাকলে বেশি খুশি হতাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *