নেটনাগরিকদের দলবদ্ধ প্রতিবাদ মহুয়ার উদ্ধত আচরণের

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৮ ডিসেম্বর: লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পরে সংসদের বাইরে তীব্র ক্ষোভ দেখান মহুয়া মৈত্র। চোখ পাকিয়ে বলেন, ৩০ বছর সংসদের ভিতরে বাইরে লড়বেন। আর নেটনাগরিকরা দলবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করলেন তাঁর উদ্ধত আচরণের।

নরেশ মালাকার লিখেছেন, ”যেমন কর্ম তেমন ফল!” রণজিৎ পাল লিখেছেন, ”অনেক অহংকারী মানুষের জীবনে যেমন পতন দেখেছি, এমন ঘটনা আবার ফিরে এলো। দুই পয়সার সাংবাদিক বলা, আর মা কালীকে যে তার নেত্রী আড়ম্বর করে পূজা করেন সেই দেবীকে নিয়ে যেই ভাষা ব্যক্ত করেছেন তার পরিণতি যে হবেই জানতাম। কারণ আমার ইষ্ট দেবীকে নিয়ে এমন অশ্লীল মন্তব্য একদম দেবীর হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দিয়েছিলাম।”

রমা রায় লিখেছেন, ”২ পয়সার সাংবাদিক! বলেছিলেন। এখন সময় তাকে ০ পয়সার সাধারণ পাবলিক (সাংসদ) করে দিল। অহংকার কোনো দিন ভাল ছিল না, থাকবেও না। তবে রাজনাথ সিং এর জায়গায় প্রকাশ কারাতের মুখ বসিয়ে প্রধান মন্রীকে মিষ্টিমুখ করানো ভিডিও বানানো ড্রেক ও’ ব্রায়েন এর কী বিচার হল? জানতে চাই।”

‘সত্যমেব জয়তে‘ নামের আড়ালে একজন লিখেছেন, ”এথিক্স কমিটিকে শুভনন্দন, এমন একটা সুন্দর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ….যে মহিলা ‘মা কালী’কে নিয়ে কটুক্তি করে, সংবিধানের তৃতীয় স্তম্ভ ‘সংবাদ মাধ্যমে’কে অপমান করে….”। সৈকত ব্যানার্জি লিখেছেন, ”২ পয়সার সাংসদ?” পবন বিশ্বাস লিখেছেন, ”খুবই অসভ্য মহিলাদের মধ্যে এক জন।”
শৌভিক চৌধুরী লিখেছেন, ”সোজা বাংলায় পাপ ছাড়ে না বাপকে।”

প্রণব ধর লিখেছেন, ”তোমার পতন শুরু, এখন বসে বসে চিৎকার কর।” সমর বিশ্বাস লিখেছেন, ”দুই পয়সার সাংবাদিকের এখনও মান সম্মান আছে। আজ মহাশয়া মহুয়া মৈত্র আপনার এক পয়সাও মূল্য নেই।” নিরুপম হালদার লিখেছেন, ”দু’পয়সার ছিনালী আউট, আইনসভার সম্মান রক্ষা পেলো।” তাপস দেব পুরকায়স্থ লিখেছেন, ”দুই পয়সার সাংসদ।”

প্রসেনজিৎ সাঁতরা লিখেছেন, ”এতদিন পর জব্দ হয়েছে।” পলাশ ভক্ত লিখেছেন, ”অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না সে যে দিদিই হোক।” গৌর চক্রবর্তী লিখেছেন, ”একেই বলে নির্লজ্জ বেহায়া, দেশের শত্রু, প্রমাণের প্রয়োজন নেই, অভিযোগ‌ই যথেষ্ট।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *