পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জানুয়ারি: শালবনী ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্মজয়ন্তী পালন ও আইনি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। নেতাজির আবক্ষ মুক্তির আবরণ উন্মোচন করেন বিশিষ্ট কবি এবং প্রাবন্ধিক বিপ্লব মাজি। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নন্দিতা ভট্টাচার্য, প্রাবন্ধিক নারায়ণ চন্দ্র দাস, কবি ও সম্পাদক তাপস মাইতি।
প্রথমেই নবনির্মিত নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত সহকারে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রত্যেকেই নেতাজির কর্ম এবং জীবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপযোগী ও হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য পরিবেশন করেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা নৃত্য, গীত, আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শোভাবর্ধন করে। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় ঘোষ, বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজসেবী ডা: সুদীপ চৌধুরী, বিদ্যাপীঠের সভাপতি শশাঙ্ক কুমার ধল প্রমুখ আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় ঘোষ নেতাজির জীবন এবং বাণী আলোচনা এবং মূল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ রোধ, পকসো আইন, জেলা আইনি পরিষেবা কার্যপ্রণালী, তপশিলী জাতি ও উপজাতির অধিকার সংক্রান্ত আইন ও আজকের শিবিরের মূল বিষয়
“দারিদ্রতা দূরীকরণ” ইত্যাদি বিষয়ে আইনি সচেতনতার পরামর্শ দান করেন। আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফে উপস্থিত ছিলেন অফিস মাষ্টার কাবেরী বসু সহ সৌরিন্দ্র নাগ, কৌশিক পাত্র, সৌরভ সিংহ, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস। আইনি সচেতনতা শিবিরটি আয়োজন করার ক্ষেত্রে অধিকার মিত্র ডাঃ বাসুদেব চক্রবর্তি অগ্রণী ভূমিকা নেন।
বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড: প্রসূন কুমার পড়িয়া জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্ত অনুষ্ঠানে শারীরিক কারণে উপস্থিত না থাকতে পারলেও মূল্যবান শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। নেতাজির আদর্শ এবং জীবন আজকের শিক্ষার্থীদের জানানো প্রয়োজন। নির্ভীক, দৃঢ়চেতা সুনাগরিক গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনার আয়োজন।’
মূর্তিদাতা সমীর বিষই জানান, এই মহাপুরুষের মূর্তি বিদ্যাপীঠে দান করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত বোধ করছি।’
সমস্ত অনুষ্ঠানটিতে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক – শিক্ষিকা, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক সুজিত কুমার শিট।