সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৩০ নভেম্বর: ছাপাখানায় কাজ করতে গিয়ে অসতর্কতায় চোখে পেরেক ঢুকে যায় বছর ২৩ এর রাজা নস্করের। আর আলট্রাসনোগ্রাফি বন্ধ থাকায় পরের দিন ইউএসজি করিয়ে চিকিৎসা শুরু হতে হতে ছড়িয়ে পড়ে চোখে সংক্রমণ। যার ফলে শেষ পর্যন্ত চোখ খোয়াতে হল ওই যুবককে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে ওই যুবকের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা রাজা নস্কর শিয়ালদার একটি ছাপাখানার কর্মী। পরিবারের দাবি, সোমবার কারখানায় কাজ করার সময় ২৩ বছরের ওই যুবকের ডান চোখে পেরেক ঢুকে যায়। ওই দিনই নিয়ে যাওয়া হয় রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে। কিন্তু সন্ধ্যায় আলট্রা সোনোগ্রাফি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাকে ওই দিন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পরের দিন ইউএসজি করা হলে দেখা যায়, চোখে পেরেক আটকে রয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার অস্ত্রোপচার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ায় শুক্রবার অস্ত্রোপচার করে যুবকের ডান চোখটি বাদ দিতে হয়।
দেরিতে অস্ত্রোপচারের অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যুবকের পরিবার। হাসপাতাল অধিকর্তা অসীমকুমার ঘোষ সন্ধ্যার পর ইউএসজি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও, গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডান চোখেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকায়, বাঁ চোখটি বাদ দিতে হয়েছে।