রাজেন রায়, কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারি: বিধানসভা ভোটের আগে গোটা পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫টি রথযাত্রা করার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। আগামী ৬ ফেব্রয়ারি নবদ্বীপ থেকে প্রথম রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের তরফে রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারকে চিঠি দেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা ওই চিঠিতে সমস্ত রথযাত্রার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনদিনের মধ্যেই সেই চিঠির জবাবে জানানো হল, অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেই।
বুধবার রথযাত্রা রুখতে একটি জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। অন্যদিকে, এদিনই বিজেপিকে চিঠি দিয়ে নবান্ন জানিয়ে দিল রথযাত্রার জন্য অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে থেকে। স্থানীয় প্রশাসনের আপত্তি থাকলে প্রয়োজনে রথযাত্রার পথ পরিবর্তন করতে হতে পারে।
লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ভালো ফল হলেও এবার বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। একদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন বারবার যাতায়াত করছেন তেমনই একাধিক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছে বিজেপি। এবার
জবাবি ওই চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে যে এলাকা দিয়ে রথযাত্রা যাবে সেখানকার প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সমস্থ আইন মেনেই কর্মসূচি করতে হবে।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নবদ্বীপে প্রথম রথযাত্রার সূচনা করবেন। ৯ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম ও তারাপীঠ থেকে নাড্ডা আরও দু’টি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে অমিত শাহ একটি রথযাত্রার সূচনা করবেন। যদিও নবান্নে পাঠানো আবেদনে বিজেপি জানিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপে রথযাত্রার সূচনার পর তা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ ঘুরে শেষ হবে ব্যারাকপুরে। ৮ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার এবং কাকদ্বীপ থেকে আরও দু’টি রথযাত্রার সূচনা করার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কোচবিহারের রথযাত্রা উত্তরবঙ্গ ঘুরে শেষ হবে মালদহে। আর কাকদ্বীপ থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঘুরে শেষ হবে কলকাতায়। এ ছাড়া ৯ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম এবং তারাপীঠ থেকে আরও দু’টি রথযাত্রা শুরু হবে। ঝাড়গ্রামের রথ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি ঘুরে পৌঁছবে হাওড়ায়। তারাপীঠের রথ বীরভূম, বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া ঘুরে শেষ হবে পুরুলিয়ায়।