আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১২ জুন:জলপাইগুড়ির পর্বতারোহীরা আবার দুর্গম অভিযানের উদ্যোগ নিলো। উদ্যোক্তারা শহরের একমাত্র পর্বত অভিযাত্রী সংগঠন নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি। এবার হিমাচল প্রদেশের এক দুর্গম শৃঙ্গ, যেখানে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র দুটি অভিযান সংঘটিত হয়েছে। শৃঙ্গের নাম লেডি অফ কেলং যা লাহুল স্পিতি অঞ্চলে অবস্থিত। ২০,০৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই শৃঙ্গের পথ খুবই দুর্গম। পথের দুর্গমতার জন্য মূল শিবিরে পৌঁছাবে না কোনো মালবাহক ঘোড়া বা গাধা, ফলস্বরূপ দলের সদস্যদেরই অভিযানের সমস্ত জিনিসপত্র পিঠে করে নিয়ে যেতে হবে।
এবারের এই অভিযান একটু অন্য ভাবেও সংগঠিত হবে। যত সম্ভব কম সংখ্যক সাপোর্ট স্টাফ নেওয়া হবে এবার এবং দলের সদস্যরাই রাস্তা তৈরী করে এগিয়ে যাবে শৃঙ্গের লক্ষ্যে। এবারের অভিযানে ক্লাবের অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য প্রান্ত থেকে তিন জন প্রতিভাবান পর্বতারোহীকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পর্বতারোহণ সংগঠন অনুমদিত দুর্গম এই অভিযানের জন্য দশ জনের এক অভিজ্ঞ দল নির্বাচিত করা হয়েছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ভাস্কর দাস। অন্যান্য সদস্যরা হলেন– দীপঙ্কর সেন, জয়ন্ত সরকার, মুজিবর শেক, সুজয় বনিক, আমিত দাস, জনক কোচ, পাশাং দোরজি শেরপা, আবির চৌধুরী এবং সঞ্জিত ছেত্রী।
১১ জুলাই দেশের জাতীয় পতাকা এবং ক্লাব পতাকা তুলে দেওয়া হবে অভিযাত্রী দলের হাতে। ১২ জুলাই দলটি জলপাইগুড়ি থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবে। সেখান থেকে মানালী হয়ে তারা পৌঁছাবে টিন্ন গ্রামে। যার উচ্চতা ১০ হাজার ফুট। সেখান থেকেই ১৬ জুলাই শুরু হবে হাঁটার পর্ব। মূল শিবির বা বেস ক্যাম্প স্থাপন হবে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায়। মূল শিবিরের উপরে বিভিন্ন উচ্চতাতে স্থাপিত হবে আর তিনটি শিবির। আবহাওয়া ও বাকি সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ বা ২৫ জুলাই, ২০০৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই দুর্গম শৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযাত্রী দলের নেতা ভাস্কর। তিনি বলেন, “মোট পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ রয়েছে। বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হয়েছে।”