আমাদের ভারত, হুগলী, ১৯ জুলাই: সকালে খবর পেয়ে অবাক হয়ে যায় ধনেখালি থানার ভান্ডারহাটি (১) গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর সদগোপ পাড়ার বাসিন্দারা। দাদু ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল আর তঁর নাতনি কি না বাংলাদেশে ধরা পড়েছে জঙ্গি হিসেবে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েছে এই জঙ্গি। তবে মুসলিম নাম হলেও আদতে সে হুগলির বাসিন্দা তার নাম ছিল প্রজ্ঞা। ধর্ম পরিবর্তন করে সে হয় আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুন তাসনিম। আর এই ঘটনায় অবাক তার গ্রামের বাসিন্দারা।
নাম ছিল প্রঞ্জা দেবনা ওরফে নটু। ছোটবেলায় স্কুল জীবন শুরু হয় কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরবর্তী সময়ে ধনেখালি কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। পড়াশুনাতে ভালই ছিল। পাড়ার শান্তশিষ্ট মেয়ে হিসেবেই পরিচিত ছিল সবার কাছে। কারো সঙ্গে সেই ভাবে কথাবার্তা বলত না। তবে এলাকাবাসীর দাবি সে মাঝে মাঝে তার ফোন থেকে হিন্দিতে কথা বলতেন অনেক সময় ধরে। তাঁদের বক্তব্য, আমরা গ্রামের লোক হিন্দি না বোঝার কারণে সেই ভাবে আমল দিতাম না ব্যাপারটাকে। তবে এই ভাবেই যে পাড়ার একটি মেয়ে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে তা আমরা কোনওদিনই কল্পনা করতে পারিনি। আজ সকালে খবর পাওয়ার পর হতবাক হয়ে যাই আমরা।
ছবি: প্রজ্ঞার মা।
২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছাড়ে। পরবর্তী সময় বাড়ি থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। অভিযোগ করা হয় থানায়। একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময় যখন মেয়ে আমাদেরকে ফোন করে জানায় যে সে বাংলাদেশের চলে গেছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তারপর থেকে আমরা থানার ডাইরিটি তুলেনিই। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে ফোন করে মা গীতা দেবি কে জানায় সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে ও বিয়ে করেছে। মিনিট পাঁচেক কথা বলার পরে আর কখনো কথা হয়নি মেয়ের সাথে। তবে গীতা দেবি জানান, আমি মেয়েকে ফোনে বলি যা ঘটনা ঘটেছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিস তুই আমাদের কাছে চলে আসতে পারিস যদি ওই সব ধর্ম ত্যাগ করতে পারিস। কিন্তু মেয়ের জিহাদেতে অনড় থাকে সে তারপর থেকেই আর কোনও দিনের জন্য ফোন আসেনি মায়ের কাছে।