জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৪ জুলাই: বাঁকুড়ার জাতীয় শিক্ষক তারানন্দ চক্রবর্তী নিজের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ত্রিশ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন আমফান ও করোনা বিপর্যস্ত মানুষের সেবার জন্য ও সাধারণ মানুষকে একটু শান্তি দেওয়ার জন্য।
বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার হাড়মাসড়া গ্রামের বাসিন্দা পণ্ডিত তারানন্দ চক্রবর্তী পঞ্চতীর্থ ছিলেন সারেঙ্গা থানার জামবনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংস্কৃত শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক। চল্লিশ বছরেরও কিছু বেশি সময় তিনি শিক্ষকতা করেছেন। অবসর গ্রহণ করেছেন ১৯৯৬ তে। বর্তমানে তিনি অশীতিপর এক বৃদ্ধ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বাঁকুড়া শাখার অধ্যক্ষ মহারাজের হাতে তিনি তুলে দিলেন তাঁর ‘যৎসামান্য’ সঞ্চয়। সংঘের মহারাজ বলেন, করোনা বিপর্যস্ত মানুষদের সেবায় অংশগ্রহণের জন্য তারানন্দবাবুর মতো পেনশনভোগী মানুষের এগিয়ে আসা দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা’।
সংস্কৃত সাহিত্যে পান্ডিত্যের পুরস্কার স্বরূপ তারানন্দবাবু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একাধিকবার সম্মানিত হয়েছেন। ২০০১ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির নিকট ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মাননা। ২০১৯ তে কলকাতা সংস্কৃত কলেজ ও ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়েছেন বিশেষ সাম্মানিক।
এই বয়সেও তাঁর লেখনী কিন্তু থেমে নেই। সংস্কৃত সাহিত্য সম্বন্ধে নিয়মিত তাঁর লেখনীতে উপচে পড়ে অসংখ্য লেখা। দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত শ্রী অট্টুর বালভট্ট রচিত ‘শ্রী রামকৃষ্ণ কর্ণামৃতম’ গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করে তিনি লেখক সমাজের কাছে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছেন।