অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ১৬ নভেম্বর: বুধবার প্রায় নীরবে দেশে পালিত হল ‘ন্যাশনাল প্রেস ডে’। জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস। ভারতীয় গণতন্ত্রে ‘এক মহতী দিন’। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের মুহূর্ত। বিশেষ করে যখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বারবার নেমে আসছে আক্রমণ।
এককথায় সমাজের দর্পণ হচ্ছে মিডিয়া। শাসককে চোখে আঙুল দেখিয়ে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া যার অন্যতম কাজ। মিডিয়ার সূচনাই হয়েছিল সেই লক্ষ্যে। সময়ের সঙ্গে দুনিয়ায় প্রযুক্তিগত মাধ্যমের বদল হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের পরিধির বিস্তার ঘটেছে। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের প্রতি শাসকের রক্তচক্ষু বদলায়নি। বারবার মিডিয়ার উপর আঘাত নেমে এসেছে।পর্যবেক্ষক মহলের মতে, গণতন্ত্রের এই স্তম্ভ ক্ষমতাশালী শাসক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগসূত্র।
বর্ষীয়ান সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তথা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ অমল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “প্রচারমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর মাধ্যমে মানুষ সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতির কথা জানতে পারে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সমালোচনার অন্যতম অঙ্গ হল প্রচারমাধ্যম। কিন্তু সার্বিকভাবে এর মান নেমেছে। ব্রিটিশ আমলে প্রচারমাধ্যম যতটা নির্ভীক ছিল, এখন যেন তার ভয় আরও বেড়েছে। এটা অবশ্যই খুব দুর্ভাগ্যের কথা।”
প্রতিকারের পথ কী? প্রতিকার ভীষণ জরুরি মনে করলেও তার পথ দেখছেন না অমল মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, “এই অবস্থা পরিবর্তনের আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। এর মাশুল গুনতে হচ্ছে, হবে ভারতের গণতন্ত্রকে। তবু আশায় থাকব একদিন এই অবস্থার উন্নতি হবে।“