আমাদের ভারত, ২৪ মে: সিবিআইয়ের দাখিল করা পিটিশনে একাধিক ত্রুটি রয়েছে। আর সেই জন্যে এই মামলা আজ গ্রহণ করল না শীর্ষ আদালত। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকার কারণেই তা গৃহীত হলো না। নতুন করে এই মামলা দায়ের করতে হবে।
নারদ কাণ্ডের চার হেভিওয়েট অভিযুক্তের জামিন শুনানিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে মাঝরাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে আপাতত ধাক্কা খেলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার মাঝরাতে অনলাইনের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় তারা। সোমবার নারদ মামলায় হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরীর বিরোধিতা ও ধৃত চার হেভিওয়েটের জামিন মামলার শুনানি স্থগিতের আবেদন করা হয়। সোমবার বেলায় সেই মামলার বিস্তারিত দেখার পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান, সিবিআই-এর আবেদনের অন্তত ১২টি পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে তাই তা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে, এই মামলা সুপ্রিমকোর্টের গেছে এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানানো হয়। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। ১৭ মে নারদ মামলায় অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সাত সকালে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই নিম্নআদালতে তাদের তোলা হলে প্রথমে তাদের জামিন মঞ্জুর হলেও রাতেই তা আবার নিটকীয় মোড় নেয়। সিবিআই চার হেভিওয়েটের জামিনে স্থগিতাদেশে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে। ওই দিন রাতেই হাইকোর্ট জামিনে স্থগিতাদেশ দেয়। অভিযুক্তরা জেলে যায়।
এরপর পরবর্তী শুনানিতে বিচারপ্রতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলে, ধৃতদের জেল হেফাজত থেকে রেহাই দিয়ে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় ও এই জামিন মামলা নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হয়। এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। কিন্তু সেখানে মামলা দায়েরে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় শেষ পর্যন্ত ধাক্কা খেতে হয় সিবিআইকে।