আমাদের ভারত, ৫ ফেব্রুয়ারি:দিল্লির সীমান্তে প্রায় আড়াই মাস ধরে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে শুক্রবার সংসদে বিবৃতি দিয়ে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুধুমাত্র একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ । কৃষকদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যসভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষক ইউনিয়ন বা কোন বিরোধী দলকৃষি আইন গুলিতে একটাও খুঁত খুঁজে দেখাতে পারেনি। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি ও কৃষক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেছেন, তারা বিরোধীদের প্রশ্ন করেছিলেন কৃষি আইনগুলোতে কী অসুবিধা রয়েছে, কেউ তাদের জবাব দেয়নি।
অন্যদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি নতুন কৃষি আইন গুলি কার্যকারী হলে তারা ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য পাবেন না। কৃষি ক্ষেত্র পুরোপুরি বড় ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ রাজনৈতিক দলের ১৫ জন সাংসদ কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গাজিপুরে। কিন্তু পুলিশ সাংসদদের কৃষকদের সাথে দেখা করতে দেয়নি। পরে সাংসদরা বলেন অন্নদাতাদের প্রতি সরকার যে আচরণ করছে তা চমকে ওঠার মতো। একটি বাসে করে সাংসদরা গাজিপুরে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সদ্য এনডিএ ছেড়ে আসার শিরোমনি আকালি দলের সাংসদ হরশিমরত কৌর বাদল, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, এআইএডিএমকের কানিমোজি, তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়। হরশিমরত কৌর বাদাল টুইট করে বলেন, “গাজিপুর বর্ডারের অবস্থা নিজের চোখে দেখে এলাম। অন্নদাতাদের প্রতি সরকার যে আচরণ করছে তার রীতিমতো আশঙ্কার। কৃষকদের চারপাশে দূর্গের মত পাচিল দেওয়া হয়েছে।কংক্রিটের ব্যারিকেডের সঙ্গে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। কৃষকরা যেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ফায়ার ব্রিগেড ঢোকার রাস্তা নেই। ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর প্রতিবাদে কৃষকরা চাক্কা জামের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার সংসদে বাজেট পেশ হবার পরেই আন্দোলনকারি কৃষকরা জানান তারা কখনোই এই বাজেটে সন্তুষ্ট নন। তাদের বক্তব্য, বাজেটে কৃষি উন্নয়নে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাঙ্গামার হয়। এবছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে লালকেল্লা সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লা তেরঙ্গার যে অবমাননা হয়েছে তাতে আমি দুঃখিত। এ ঘটনা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আইন চলবে আইনের পথে।