আমাদের ভারত,১ এপ্রিল: দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে তালিবানি অপরাধ বললেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। তিনি এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন।
করোনা সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছিল তখন দেশের রাজধানীতে কিভাবে এত বড় ধর্মীয় সভা করা হল? তা নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েছে তাবলিঘি জামাত নামে ওই সংগঠনটি। এই বিষয় নিয়ে নাকভিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটি একটি তালিবানি অপরাধ। সারা দেশ যখন একসাথে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন এই ধরনের কাজ করা অপরাধ। এই কাজের জন্য শুধু আইন নয় ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করবেন না। এই দায়িত্বহীন কাজের জন্য বহু মানুষের জীবন আজ বিপদের মুখে পড়েছে। এই ঘটনায়
প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, করোনা সংক্রমণ আটকাতে সরকার যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে দেশের ৯৯ শতাংশ দেশবাসী তার পাশে রয়েছে। দেশে সংখ্যালঘুরাও সরকারের এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছে। তাই করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার আবেদন করেছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ আটকাতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। কোন ধর্মীয়, সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক অথবা রাজনৈতিক জামায়াতে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছিল তারপরেও ধর্মীয় সংগঠন তাবলিঘি জামাতের সদর দপ্তরে ১৩ থেকে ১৫ মার্চ এক বিরাট ধর্মীয় সমাবেশ হয়। যেখানে সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ উড়িয়ে দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ শামিল হয়েছিল। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমারের মত বহু দেশ থেকেও মানুষ সেখানে এসেছে। এরপর এই সমাবেশে থাকা অনেকেই করোণায় আক্রান্ত। এই ধর্মীয় জমায়েতের কারণে আজ দেশজুড়ে ব্যাপক করোনায় সংসক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।