দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করল নইসুভা

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৩ জানুয়ারি: সরকারি সাহায্য মেলেনি। ফলে ঘটিবাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছেন দুর্ঘটনায় আহত শব যাত্রীরা। সোমবার তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পোশাক, শীতবস্ত্র তুলে দিলেন মল্লারপুর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর তারাপীঠে মৃতদেহ সৎকার সেরে ট্রাক্টরে বাড়ি ফিরছিলেন ২৩ জন গ্রামবাসী। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট থানার বিনোদপুর গ্রামের কাছে ঝাড়খন্ডের মহেশপুর থেকে রামপুরহাটগামী একটি টাটাসুমোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পঞ্চানন কোনাই (৬৪) নামে এক বৃদ্ধার। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিলক লেট (৪৮) নামে আর এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত হয়ে সাতজন বর্ধমান এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে এখনও দুজন কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা দিন কয়েক আগে বাড়ি ফিরেছেন। পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু এবং আহত হওয়ায় পরিবারগুলি অসহায় হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিছুটা সাহায্য করলেও সরকারিভাবে কোনও সাহায্য করা হয়নি।

খবর পেয়ে এদিন দুপুরে গ্রামে যায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভার লোকজন। তারা ১০ টি পরিবারের হাতে দিল্লির ‘গুঞ্জ’ নামে একটি সংস্থার দেওয়া প্যাকেট তুলে দেয়। যে প্যাকেটে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি রয়েছে একটি পরিবারের প্রয়োজনীয় পোশাক ও শীতবস্ত্র।

নইসুভার সম্পাদক সাধন সিনহা বলেন, “মূলত গ্রামীণ এলাকায় কাজের বিনিময়ে আমরা গুঞ্জের ওই জিনিসপত্র গ্রামবাসীদের দিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে যখন জানলাম কিছু মানুষ অসহায় তখন তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলাম। বেসকারি ভাবে সামান্য এই সাহায্য পেয়ে কিছুটা উপকার হবে বলে জানান নিহত এবং আহতদের পরিবারগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *