স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২১ অক্টোবর: ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য মেয়েদের মত সখ ছিল খেলনা বাটির। যখন একটু বড় হল আর পাঁচজন মেয়েদের মত স্কুলে যেতে শুরু করল তখন থেকেই সে পড়াশোনার পাশাপাশি মাটি দিয়ে খেলনা ও পরে পুতুল তৈরি করে হাত-পাকাতে শুরু করল। সেটা ছিল তাঁর ছোটবেলা। বছর ১৫ হল তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলছে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম নদিয়ার চাকদহের টিংকু প্রামাণিকের। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে টিংকু দেবী।
এবার পুজোতে মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। তাই টিংকু দেবীর মন খুব খারাপ। বছর শেষেও মা’কে দেখতে পাবেন না। সারা বছর ধরে আমরা দুর্গা পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি, আর তাও এবার সর্বসাধারণের দেখার অনুমতি মিলবে না।তাই এবার টিংকু দেবী নিজের হাতেই তৈরি করে ফেলল মাটির তৈরি মা দূর্গা। একটা ছোট পাটাতনের ওপর রং তুলি আর মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন মা দুর্গা।
টিংকু দেবী জানান, ছোটবেলায় পুতুল তৈরিতে বন্ধুদের মধ্যে আমার সুনাম ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি কোনও দিনও দুর্গা ঠাকুর বানাবো। তবে যখন বানিয়ে ফেলেইছি তাহলে পুজো করতে দোষ কোথায়? আমি এরপর এর চেয়েও বড় দুর্গা প্রতিমা বানাবো। আগামী দিনের সরস্বতী ঠাকুরও নিজেই বানাব। পাশাপাশি তিনি এও জানান, করোনার বিরুদ্ধে আমরা দিন-রাত লড়াই করে চলেছি। কিন্তু মারণরোগ করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তা প্রতিরোধে এবার সরকারি কিছু বিধিনিষেধ রাখা হয়েছে প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রতিমা করা হয়েছে।