আমাদের ভারত, ২৯ জুন:রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির প্রথম কার্যকরী কমিটির বৈঠক ছিল মঙ্গলবার। সেই বৈঠকে প্রথমেই দিলীপ ঘোষ বলেন কাশ্মীরের ৪০ বছরের সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে গেছে বাংলা। আবার বৈঠকের শেষ এবং অন্যতম বক্তা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও সরব হয়েছেন রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ভোটের পর হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে বাংলায় টিম পাঠিয়েছিল। আজ সেই টিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে। শুনলাম তাতে যা লিখেছেন তারা, তা কোনও সভ্য সমাজে হয় না।
নাড্ডা বলেন, পাঁচ রাজ্যের ভোট হয়েছে কোথাও সন্ত্রাস হচ্ছে না। এমনকি কমিউনিস্টরা বিজেপির মতাদর্শগত শত্রু তা সত্বেও কেরলের সন্ত্রাসের ঘটনা নেই। একমাত্র বাংলাতেই হিংসার রাজত্ব চলছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। নাড্ডা বলেন, যেখানে তৃণমূল সেখানেই হিংসা। তার কথায় বাড়ি ঘরদোর ভাঙ্গচুর, লুঠ, জরিমানা আদায়, ঘরছাড়া করা এসব চলছে বাংলায়। সমাজবিরোধীদের নিয়ে উন্মত্ত তান্ডব চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় বাংলার পুলিশ বোবা কালা হয়ে বসে রয়েছে।
বিজেপি সভাপতি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় টিম, এসএসসি কমিশন, এসটি কমিশন, মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে সবমিলিয়ে আড়াই হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কমিটির রিপোর্ট নিয়ে প্রয়োজনে আদালতে যাব আমরা। মাটি কামড়ে লড়াই করব। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা সরকারকে নাস্তানাবুদ করব।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেদিন বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন সেদিনই বলেছিলেন বাংলা শেষ দশ বছরের বিরোধী দলের মতো বিজেপিকে ভাববেন না। তা ভাবলে ভুল হবে। নাড্ডাও আজ তাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। তার কথায় স্পষ্ট মমতা সরকারের বিরুদ্ধে উগ্র বিরোধিতার পথেই হাঁটবে পদ্ম শিবির।
দুর্নীতি নিয়েও মমতা সরকারের সমালোচনা করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, দুর্নীতি- মমতা -তৃণমূল- সমার্থক শব্দ। আগে চাল, ত্রিপল চুরি করেছিল এখন ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতি করছে। যা কোথাও হয়নি তা বাংলায় হয়েছে। দুর্নীতি এমন পর্যায়ে যে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকেও জ্বাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।