রেশন দুর্নীতি রুখতে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বর যুক্তের বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

রাজেন রায়, কলকাতা, ৩১ জুলাই: রেশন দুর্নীতি আটকাতে এর আগে খাদ্যসচিবকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল একাধিক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপরেও উঠেছে দুনীর্তি এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠতা নিয়ে পক্ষপাত্বিতের অভিযোগ। তাই রেশন গ্রহীতারা যাতে আরও সুষ্ঠু ভাবে রেশন পেতে পারেন, তার জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।

বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, এই কাজের জন্য রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং মোবাইল নিয়ে রেশন দোকানে যেতে হবে। ডিলারকে সংযুক্তির জন্য বলা হলে তিনি রেশন দোকানে থাকা ই–পসের সাহায্যে তা করবেন। রাজ্যের সব রেশন দোকানেই এই ই–পস যন্ত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রেশনে জিনিসপত্র বিলির ক্ষেত্রে সেটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। খাদ্য দফতরের দাবি, ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্তি হয়ে গেলে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তার রেশন তুলতে পারবে না। রেশন গ্রহীতা যখন রেশন দোকান যাবেন, তখন আঙুলের ছাপের সাহায্যে রেশন তোলার অনুমতি দেবেন। অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষের আঙুলের ছাপ মেলে না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিয়ে কাজ সেরে নেওয়া যাবে। এ ব্যাপারে কারও কোনও অসুবিধা হলে খাদ্য দপ্তরের টোল ফ্রি নম্বরে ১৮০০৩৪৫৫৫০৫ এবং ১৯৬৭ তে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

কিন্তু এরপরেও যে দুর্নীতি হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? রেশন গ্রাহকদের একাংশের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক রেশন ডিলার কালোবাজারের পথ আটকে যাওয়ায় এই সংযুক্তিকরণ করতে চান না। কারণ কার্ডে বরাদ্দের পরিমাণ তখন প্রকাশ্যে চলে আসবে। ফলে বেশি পরিমাণ বরাদ্দে চুরি করা আটকে যাবে।

আবার বাড়ির অসুস্থদের রেশন দোকানে এসে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া সম্ভব নয় আর মোবাইলে ওটিপি এলে সেটা অন্য যে কোনও কারোর পক্ষে বলে দেওয়া সম্ভব। তাই এত সব কিছু করেও রেশন দুর্নীতি আটকানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *