সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কোনটা রটনা- কোনটা বাস্তব, তথ্য প্রকাশ করে জবাব কেন্দ্রের

আমাদের ভারত, ৭ জুন:দেশজুড়ে করোনার প্রবল তাণ্ডবের মধ্যে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে জরুরী পরিষেবা তকমা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে প্রকল্পটিকে ছাড় দিয়েছে। এমনকি প্রকল্প কেন এখন চলছে এই প্রশ্ন তুলে আবেদন করা মামলাকারীকে জরিমানা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। কেন এই প্রকল্প অত্যন্ত জরুরী সেটা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পুরো ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী হার্দিক পুরী ব্যাখ্যা দেওয়ার পরেও বিতর্ক থামেনি।
তাই কেন্দ্রীয় পুরো ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ এ “প্রচার বা রটনা বনাম বাস্তবতা” নামক একটি ১৮ পাতার পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পুস্তিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে কেন সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রকল্প অত্যন্ত জরুরী।

পুস্তিকায় বলা হয়েছে বর্তমান সংসদ ভবনে জায়গার অভাব। সাংসদদের এখন সেখানে বসতে অসুবিধা হয়। আগামী দিনে জনসংখ্যার নিরিখে সাংসদ সংখ্যা বাড়লে সমস্যা আরো বাড়বে। মন্ত্রকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে নতুন সংসদ ভবনের কথা বলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী তথা প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারও। মন্ত্রক জানিয়েছে এখন শুধুমাত্র নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির জন্যই আবাস তৈরি হচ্ছে। সেন্ট্রাল বিস্তার মূল কাজ হচ্ছে। পরে তৈরি হবে আরো নতুন ভবন এবং নতুন প্রকল্প। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি চলবে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে। তার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে নতুন সংসদ ভবনের জন্য ৮৬২ কোটি টাকা সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভেনিউয়ের জন্য ৪৭৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তার একটা অংশ মাত্র মেটানো হয়েছে। ফলে এখন কাজ পিছিয়ে দিতে গেলে বড় সমস্যা তৈরি হবে। বরাদ্দও বাড়বে ফলে চাপ পড়বে কোষাগারে।

মন্ত্রকের দাবি আগের সংসদ ভবন একেবারে পুরনো। তাতে আধুনিকতার কোনরকম ছোঁয়া নেই। সবার ভীষণ অসুবিধা হয়। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ সমস্ত সুযোগ সুবিধা একেবারেই সেকেলে। যদিও বিরোধীরা সরব হয়েছে এই অতিমারুর মৃত্যু-মিছিলের মধ্যে সত্যিই কি আরো একটু কষ্ট করে কয়েক বছর চালানো যেত না?

মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে জনস্বাস্থ্যখাত থেকে এই নতুন আধুনিক ভবন মহল তৈরিতে টাকা ঢালা হচ্ছে বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। বরং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ বেড়েছে। টিকার জন্যেও প্রচুর টাকার সংস্থান করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের জন্য মোদী সরকার কেন কোনো দায় নেবে না? নতুন ভবন, নয়া রাজপথ তৈরির বরাদ্দ কেন টিকাকরণের খাতে টাকা খরচের থেকে অগ্রাধিকার পেলো?

নতুন এই প্রকল্প তৈরীর জন্য দেদার গাছ কাটা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। দূষণে আক্রান্ত দিল্লিতে এই প্রকল্পের জন্য গাছ কাটা আরো কতটা ক্ষতি বাড়াবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মন্ত্রক সেক্ষেত্রে দাবি করেছে, তারা কোন গাছের ক্ষতি করছেন না। বরং সবুজের সমাহার তারা করবেন সারা দিল্লি জুড়ে। তার জন্য দিল্লির উপকণ্ঠে বদরপুরে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *