বরানগরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৭ অক্টোবর:
বাড়ি থেকে নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে পাড়ারই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রের মৃতদেহ। মৃত ওই ছাত্রের নাম জানাগেছে সৌরভ সেনগুপ্ত (২২)। বরানগরের টবিন রোডের ভট্টাচার্য পাড়ার পুকুর থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বরানগর থানার পুলিশ।

জানাগেছে, নবমীর রাতে মায়ের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা হাত খরচ নিয়ে কলকাতায় সারারাত বন্ধুদের সঙ্গে নবমীতে ঠাকুর দেখবে বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল সৌরভ। ফলে সৌরভের পরিবার নবমীর রাতে আর সৌরভের খোঁজ করেনি। এদিকে দশমীর সকাল পর্যন্ত সৌরভের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল বলে সৌরভের পরিবার দাবি করেছে। তবে দশমীর সকালে পরে মোবাইল ফোনটি খুলে যায়। সেই ফোনটি পাড়ারই পুকুর পাড়ে বাজলে পাড়ার লোকেরা ফোনটি ধরে। সেখান থেকে সৌরভের ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপরেই সৌরভের পরিবার বরানগর থানায় সৌরভের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে এবং পুলিশকে ফোন উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি জানালে পুলিশ ভট্টাচার্য পাড়ার পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে ওই ছাত্রের খোঁজ শুরু করে। পরে সৌরভের পরিবার নিজেদের উদ্যোগে আরো একজন ডুবুরিকে ওই পুকুরে নামালে উদ্ধার করা হয় সৌরভের নিথর দেহ। মঙ্গলবার বরানগর থানার পুলিশ ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।

মৃতের মামা বাচস্পতি ভট্টাচার্য বলেন, “সৌরভ সাঁতার জানত না, জলকে ভয় পেত। ও স্বেচ্ছায় জলে নামবে না। ওর মৃতদেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় ওর মানি ব্যাগ ও গলার সোনার হার নেই। সব থেকে বড় রহস্যজনক বিষয় ও মোবাইল ফোন বন্ধ করত না। ফোনটি সকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল, পরে খোলা হয়েছে ফোন। তাতেই বেজেছে ফোনটি। এবং পুকুর পাড়ে ফোনটি পাওয়া গেছে। ও যদি দুর্ঘটনার কারণে পুকুরে পড়ে যেত তবে ফোনটি ওর সঙ্গেই থাকত। পুকুর পাড়ে কেন আলাদা করে পড়ে থাকবে। ফলে সৌরভের মৃত্যু স্বাভাবিক বলে মানতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। ও যে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাদের ধারনা ওকে পরিকল্পনা করে ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এই ভাবে হত্যা করে থাকতে পারে ।”

বরানগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বোঝা যাবে ওই ছাত্রের মৃত্যুর প্রকৃত কারন কি? আপাতত ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *