আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৬ অক্টোবর: নবমীর রাতে উলুবেড়িয়া থানার নোনা এলাকায় বাড়ির ভিতর থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম স্বপ্না চন্দ্র (৬৮)। পাশাপাশি গৃহবধূর শাশুড়িকেও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। পুজোর মধ্যে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। উলুবেড়িয়ায় থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত নার্স স্বপ্না দেবীর সঙ্গে তার স্বামী ও ছেলের সেভাবে কোনও সম্পর্ক ছিল না। মেয়ে পৌষালী ও শাশুড়িকে নিয়ে তিনি উলুবেড়িয়ার বাড়িতে একাই থাকতেন। যদিও মাস পাঁচেক আগে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর দুই মহিলা একাই বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় এক যুবক তাদের দেখাশোনা করতেন।
মৃত গৃহবধূর ভাই হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা তপন দাস জানান, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার দুপুরে দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যায় পুনরায় দিদির ফোনে ফোন করলেও সে আর ফোন ধরেনি। আমরা একাধিকবার তার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও দিদি ফোন না ধরায় আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে। তিনি জানান, আমরা হাওড়া থেকে রাতে উলুবেড়িয়ায় আসার পর পুলিশে খবর দিই। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। তপন দাস জানান, আমরা ভেতরে ঢুকে দেখি সিঁড়ির উপর দিদি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বৃদ্ধা শাশুড়িকে খোঁজাখুঁজি করলে উপরে দোতলার একটি ঘরে খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখি। তিনি জানান যে যুবক দুই মহিলাকে দেখাশোনা করতো সে জানিয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর সে যাওয়ার আগে তাকে স্বপ্না দেবী বলেছিলেন দু’জন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সন্ধেয় পাখা সারাতে আসবে। তপন বাবুর অভিযোগ, যেভাবে দিদিকে সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং শাশুড়িকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাতে আমাদের সন্দেহ দিদিকে খুন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, আহত বৃদ্ধা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হলে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে। এছাড়াও মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।