আমাদের ভারত, ২ সেপ্টেম্বর:
বিহারে এস আই আর এর প্রতিবাদে ভোটাধিকার যাত্রায় সময় সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের উদ্দেশ্যে কুকথা বলা হয়। মঙ্গলবার সেই বিহারের সমবায় সমিতির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে নিজের মায়ের অসম্মানের বিরুদ্ধে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তুলোধনা করেন কংগ্রেস ও আরজেডি নেতৃত্বের।
বিহার থেকে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেই বিহারের এক সমবায় সমিতির উদ্বোধনে তার জবাব দিলেন মোদী। তাঁর মা প্রয়াত হিরাবেন মোদীর উদ্দেশ্যে বলা কু কথার বিরুদ্ধে সরব হলেন মোদী। আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মাকেও ওরা ছাড়ল না। আমার মা আমাকেও তাঁর থেকে আলাদা করেছিলেন, যাতে আমি আপনাদের মতো কোটি কোটি মায়ের সেবা করতে পারি।ভআপনারা সকলেই জানেন, যে এখন আমার মা বেঁচে নেই। কিছুদিন আগে ১০০ বছর পূর্ণ করার পর তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। আমার সেই মাকে ওরা ছাড়ল না। যার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আর নেই তাঁকে আরজেডি–কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে নিকৃষ্ট ভাষায় কুকথা বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “মা আমাদের কাছে পৃথিবীতুল্য। মা আমাদের আত্মসম্মান। কিছুদিন আগেই বিহারে যা ঘটেছে তা আমি কল্পনাও করতে পারি না। আরজেডি–কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে আমার মাকে কুকথা বলা হয়েছে। এই কুকথা বলে শুধুমাত্র আমার মায়ের অপমান নয়, এটি দেশের সকল মা বোন এবং মেয়েদের অপমান করা হয়েছে। আমি জানি, ওই কথাগুলো শুনে বিহারের প্রতিটি মায়ের কতটা খারাপ লেগেছে। আমি জানি, আমার মনে যে যন্ত্রনা হচ্ছে, বিহারবাসীও সেই একই যন্ত্রণায় ভুগছেন।
এদিন নিজের মায়ের একাধিক স্মৃতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কিভাবে প্রয়াত হিরাবেন তাঁদের কষ্ট করে বড় করে তুলেছেন, সে কথাও বলেন তিনি। মোদী বলেন, আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়তেন তাও কাজ করে যেতেন। তিনি একটা একটা করে পয়সা জমিয়ে আমাদের জামা কাপড় বানিয়ে দিতেন। আমাদের দেশে কোটি কোটি মা আছেন যে কোনও দেবদেবীর থেকে মায়ের স্থান উঁচুতে।
এরপরই কারোর নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজার ঘরে জন্ম নেওয়া রাজপুত্রেরা একজন দরিদ্র মায়ের এবং তার ছেলের সংগ্রাম বুঝতে পারবেন না। তারা সোনার উপর চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে বিহারের ক্ষমতা তাদের পরিবারের হাতে রয়েছে, কিন্তু আপনারা এক দরিদ্র মায়ের ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন, এটা তারা হজম করতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কংগ্রেস সর্বদা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করে। তিনি একজন দরিদ্র আদিবাসী পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। নারীদের প্রতি এই ঘৃণার রাজনীতি বন্ধ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মাটি কখনো মায়েদের উপর নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করেনি। আর দিদি এবং কংগ্রেসের উচিত ছঠি মাইয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়া।
একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, কংগ্রেস–আরজেডি -র কাছ থেকে জবাবদিহি দাবি করা উচিত। প্রতিটি রাস্তা এবং এলাকা থেকে কেবল একটি আওয়াজ হওয়া উচিত, মা কো গালি নেহি সহেঙ্গে, নেহি সহেঙ্গে। আমরা আরজেডি এবং কংগ্রেস দ্বারা সংঘটিত অত্যাচার সহ্য করব না।