আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৯ ডিসেম্বর: হিন্দুর মৃতদেহ সৎকার করে নজির গড়লেন মুসলিমরা। ভাঙড়ের কাশীপুর সর্দার পাড়ার বাসিন্দা পরাণ দাসের মৃত্যুতে তাঁর দেহ সৎকার করতে এগিয়ে এলেন আব্দুর রহিম, হাসানুর রহমান, ফারুক মোল্লা। সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগানার ভাঙড়। আর এই উদ্যোগে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম। বিপদের সময় মুসলিমদের পাশে পেয়ে খুশি স্থানীয় হিন্দুরাও। দেশজুড়ে যখন সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে পড়ছে, তখন এই ছবি সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন ভাঙড়ের বাসিন্দারা।
ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকার, কাশীপুর সর্দার পাড়াতে পরাণ দাস (৫০) বসবাস করতেন। তার এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই দিন যাপন করতেন পরাণ। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার ভোরে মারা যান তিনি। খবর পেতেই এলাকার অসহায় হিন্দু পরিবারের পাশে ছুটে যান এলাকার মুসলিমরা। সকাল থেকে পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি সৎকার করতে এগিয়ে আসেন মুসলিম যুবকরা। খোদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে মুসলিমরা প্রতিবেশী পরাণের সৎকারে এগিয়ে আসেন। সম্প্রীতির এই নমুনায় খুশি হিন্দু–মুসলিম সব পক্ষ।
মৃত পরাণের মেয়ে রুম্পা দাস বলেন,‘আমাদের বিপদের সময় যেভাবে মুসলিমরা পাশে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই খুব ভাল লাগছে। আমরা এখানে একসঙ্গে বসবাস করি। আমাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই।’ তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘পরাণ আমাদের সহকর্মী, এছাড়াও প্রতিবেশীর পাশে থাকা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। হিন্দু না মুসলিম ধর্ম দেখে নয়। মৃত পরাণ আমাদের প্রতিবেশী। তিনি আরও বলেন, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয়, সকলে সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই।তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত।