আমাদের ভারত, ২৩ জুন: “যেখানেই মুসলমানরা সংখ্যাগুরু, সেখানেই তারা সংখ্যালঘুদের রক্তাক্ত করে। আর মুসলমানরা যেখানে সংখ্যালঘু, সেখানে তারা অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের উদারতা উপভোগ করে। মুসলমানরা মানুষ নয়, এরা মানুষ হওয়ার চেষ্টাও করে না।” সোমবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
পরেশ চন্দ্র শীলের ওপর নির্যাতনের ভিডিয়ো-সহ তসলিমা লিখেছেন, “বাংলাদেশে প্রতিদিন রক্তাক্ত হচ্ছে হিন্দু ধর্মের মানুষরা। লালমণিরহাটে সত্তর বছর বয়সী নরসুন্দর পরেশ চন্দ্র শীলের ওপর এক পাল জিহাদি হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাঁকে অকথ্য নির্যাতন করেছে, তাঁর পুত্রকেও করেছে, তারপর দু’জনকেই পুলিশে সোপর্দ করেছে।
মুসলমানদের মধ্যে যারা বদ, তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে, তারা ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছে। এই অভিযোগ করেই তাদের শারীরিক নির্যাতন করার, তাদের বাড়িঘর- দোকানপাট লুঠ করার, পুড়িয়ে দেওয়ার, তাদের মন্দির ধ্বংস করার অলিখিত লাইসেন্স পেয়ে যায় বদ মুসলমানরা। তারপর হিন্দুরা ভয়ে দেশ ছাড়বে, আর তাদের জমিজমা কেড়ে নেবে বদেরা।
বাংলাদেশের হিন্দুরা মুসলমানদের ভয় পায়। তারা বেশ জানে, ইসলামের সমালোচনা করলে রক্ষে নেই, নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে খুন হয়ে যাবে। তারা এই কাজটি একেবারেই করে না। সাধারণত নবীর কটুক্তি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান পরিবার থেকে আসা নাস্তিকরা। এদের তো জবাই করে হত্যাই করা হয়েছে, বাকি যারা ছিল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আর যারা পালাতে পারেনি, তারা মুখ বুজে আছে।
হিন্দুদের অত্যাচার করার জন্য এদের ছলছুতোর অভাব নেই। তারপরও নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছে অভিযোগ করলে জিহাদিরা সাধারণ মুসলমানের সমর্থন পায়। পাকিস্তানী মুসলমানরাও সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে। মুসলমানদের চরিত্র সব দেশেই একই রকম।”