ব্যারাকপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি পরিদর্শন করলেন পৌর প্রশাসক উত্তম দাস

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৪ জানুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে পৌরসভার প্রজেক্টের কাজের সময় প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বসত ভিটে। বর্তমানে ওই বাড়িতে তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূ থাকেন। বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে বাড়ির নিকাশি ব্যবস্থা।

ব্যারাকপুর পৌরসভার প্রজেক্টের কাজ সুকান্ত সদন চত্বরে চলাকালীন সময়ে বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ করেন বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িটি পরিদর্শনে আসেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাস। উত্তমবাবুর সঙ্গে ছিলেন পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সুপ্রভাত ঘোষ ও পৌরসভার অন্যান্য ইঞ্জিনিয়াররা। উত্তম দাস কথা বলেন বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিতা বন্দোপাধ্যায় ও পৌত্র তথাগত বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তথাগতবাবু পৌরসভার প্রশাসক উত্তম দাস ও অন্যান্যদের তাদের বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলি ঘুরিয়ে দেখান।

বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিতা বন্দোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের সামনে ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাসকে ভৎসনা করেন। পৌরসভার প্রজেক্টের কাজের জন্য সুকান্ত সদন চত্বরে যে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, সেই কাজ করার সময় সুকান্ত সদনের লাগোয়া বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পৌত্র তথাগত বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমরা চূড়ান্ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। বাড়ির অধিকাংশ দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। যখনই পৌরসভার প্রজেক্টের কাজ হয়, আমাদের বাড়িটি কাঁপতে থাকে। আমরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না, মনে আতঙ্ক কাজ করে যেকোনও সময় বাড়ি ভেঙ্গে এর নিচে আমরা সবাই চাপা পড়ে মরে যাব। আজকে পৌর প্রশাসক আসলেন, দেখলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন বাড়ি সংস্কার করে দেবেন। এখন কত দিনে আমাদের বাড়ি সংস্কার হয়, সেটাই দেখার।”

ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, “উনারা অভিযোগ করেছিলেন উনাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জানতে পেরে আমি সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িটি পরিদর্শন করলাম। পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা সব দেখেছে। যা ক্ষতি হয়েছে আমরা সব সংস্কার করে দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *