আমাদের ভারত, ১৩ জানুয়ারি: উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে তিন জন সাধুর দল রওনা দিয়েছিলেন। মাঝপথে পুরুলিয়ায় তাদের বেধরক মারধর ও হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতারা। এই ঘটনায় রাম মন্দিরের পুরোহিত তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুমতাজ বেগম বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাম মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। তিনি বলেন, গেরুয়া রং দেখলেই ক্ষোভে জ্বলে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই কেউ কেউ তাকে মুমতাজ বেগম বলে ডাকেন। রামনবমীর দিনেও ঠিক একইভাবে ধর্মীয় শোভাযাত্রার উপর হামলা হয়েছিল বাংলায়। এই ধরনের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজ সকাল থেকেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে দেখা গেছে একদল জনতা পুরুলিয়া জেলায় গঙ্গাসাগরগামী বেশ কিছু সাধুর উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। সাধুদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন কালে শাহজাহান শেখের মত সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, আর সাধুদের হেনস্থা করা হয়। এরা সব তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। হিন্দুদের উপর বাংলায় নির্মম অত্যাচার হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পালঘরে সাধু হত্যার ঘটনাকে তুলনা করেছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, বাংলায় যা হচ্ছে তা গোটা দেশের অন্য কোথাও হয় না।
পুলিশ সুপার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশীপুর এলাকায় উত্তর প্রদেশ থেকে আসা সাধুদের গাড়িটি থামে। সেখানে একটি মন্দিরে যাওয়ার পথ নির্দেশ জিজ্ঞাসা করেন স্থানীয় তিন তরুণীকে। সেটা নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি থেকে সমস্যা শুরু হয়। দুর্গা মন্দিরের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে শারীরিকভাবে সাধুদের নিগ্রহ করা হচ্ছে। একজন সাধু পুলিশের কাছে অভিযোগ দয়া করেছেন। তারপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর অভিযোগ, স্থানীয় এক স্বঘোষিত মুসলিম তৃণমূল নেতার গুজব ছড়ানোর কারণে সাধুদের সাথে এভাবে জঘন্য নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে।

