Mumbai high court, CPM, “আগে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠুন,” গাজা ইস্যুতে বিক্ষোভ সভার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সিপিএমকে ধমক মুম্বই হাইকোর্টের

আমাদের ভারত, ২৬ জুলাই: আগে‌ দেশপ্রেমিক হয়ে উঠুন। একটি মামলার প্রেক্ষিতে ধমকের সুরে সিপিএমকে এমনই পরামর্শ দিল মুম্বই হাইকোর্ট। গাজা ভূ- খণ্ডে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করার তুলনায় দেশের একাধিক সমস্যা নিয়ে সিপিএমকে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিচারপতি গৌতম আনখরের বেঞ্চ।

গাজা ভূ- খণ্ডে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে প্রতিবাদ সভা করতে চেয়ে বাম সংগঠন অল ইন্ডিয়া পিস অ্যান্ড সলিডিরাটি ফাউন্ডেশন অনুমতি চাইলেও পুলিশের সভা করার অনুমতি দেয়নি। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিআইএম। শুক্রবার বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিচারপতি গৌতম আনখরের বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হয়। সিপিএমের হয়ে আদালতে সাওয়াল করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী মিহির দেশাই।

মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আমাদের দেশে অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করার আছে। আমরা এই ধরনের কিছু চাই না। সিপিএমের উদ্দেশ্যে ২ বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আপনারা সবাই অদূরদর্শী। আপনারা গাজা এবং প্যালেস্টাইনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কেন নিজেদের দেশের জন্য কিছু করছেন না? গাজা এবং প্যালেস্টাইনের জন্য কথা বলা দেশপ্রেম নয়।”

একই সঙ্গে সিপিএমের উদ্দেশ্যে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আমাদের দেশেই অনেক বিষয়ে আছে, আপনারা এই দেশের স্বীকৃত সংগঠন। আবর্জনা জমা হওয়া, দূষণ, নর্দমা পরিষ্কার, বন্যার মত বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। আমরা এগুলি উদাহরণ দিলাম মাত্র। আপনারা এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করছেন না। অথচ কয়েক হাজার মাইল দূরে কী হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।” একই সঙ্গে সিপিএমের পুলিশের বিরুদ্ধে করা আর্জিও খারিজ করে দেয় মুম্বই হাইকোর্ট। গাজা নিয়ে সিপিএম যে অবস্থান নিয়েছে তা ভারতের বৈদেশিক নীতি থেকে পৃথক। এরকম বিক্ষোভের মারাত্মক কূটনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে বলে হাইকোর্ট সতর্ক করেছে।

আদালতের এই পর্যবেক্ষণের নিন্দা করেছে সিপিএম পলিটব্যুরো। দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আদালতের পর্যবেক্ষণ অসাংবিধানিক। বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, মহাত্মা গান্ধীর প্যালেস্টাইন সংক্রান্ত অবস্থানের বিরোধী বলেও দাবি করেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *