আমাদের ভারত, ২৩ এপ্রিল: চলতি মাসের শেষে শুধু মুম্বইতেই করানোর আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে। আর ১৫ মে তা হতে পারে সাড়ে ৬ লাখ। চোখ কপালে ওঠার মতো এই পরিসংখ্যান দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাঁচ সদস্যের বিশেষ দল। ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রের নিজস্ব গাণিতিক মডেল অনুসরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্ভাব্য পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। তবে এই পরিসংখ্যানে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্র প্রশাসন। উদ্ধব ঠাকরের সরকার গাণিতিক মডেলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে অপরপক্ষ বলছে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে গাণিতিক মডেলকে ভুল ভেবে আশ্বস্ত হওয়ার মত জায়গা নেই।
সম্প্রতি নভি মুম্বাইয়ের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ১৯ জন কর্মী নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন মুম্বাইয়ের,ঐ সাতজন নভি মুম্বাইয়ের, একজন থানের এবং একজন তেলেঙ্গানার সাংলির বাসিন্দা। এদের সবাইকে হাসপাতালে পাঠিয়ে বন্ধ করা হয়েছে অফিস। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দুজন মহিলা পুলিশ অফিসারেরও করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ফলে তাদের সংস্পর্শে আসা আরো ৬ জন পুলিশ কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আবাসস্থল বর্ষা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উদ্ধব ঠাকরে তার বাসস্থান মাতোশ্রী ছাড়েননি। তবে দপ্তরের কাজ কর্মের জন্য প্রায়শই তাকে বর্ষায় আসতে হয়। বিশেষ করে লকডাউনের সময় ভিডিও কনফারেন্স বর্ষা থেকেই করছেন তিনি। জানা গেছে আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক ও কনস্টেবল মাত্র দুদিনের জন্য সেখানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। রবিবার তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এখনো পর্যন্ত মুম্বাইয়ের ৪৯ জন পুলিশ কর্মীরা করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন মাতোশ্রীর সামনে একজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় সিল করে দেওয়া হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে বাসভবনের সামনের রাস্তা।
আর এই পরিস্থিতিতে চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষ দলের এআ রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে মুম্বাইতে আক্রান্তের সংখ্যা যখন ৪০ হাজার ছাড়াবে, তখন আরও ১২০০ আইসি বেড এবং ৩৯২ ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হবে।তবে মহারাষ্ট্র সরকার এই রিপোর্টের খামতি চিহ্নিত করে বলেছে, এই রিপোর্টে সুস্থ হয়ে যাওয়া এবং আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সমীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। কেন্দ্রে ওই দল মুম্বাইয়ের ধারাভি, ওরলি মহালক্ষ্মী, মাতুঙ্গা, পারেল, আন্ধেরি পশ্চিম, নাগপাড়া, বাইকুল্লায় সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়ানোর আশঙ্কা করেছে।