আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৮ ফেব্রুয়ারি: বয়স ছিল ১৭, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বয়স উল্লেখ রয়েছে ৩৪। ময়নাতদন্তের সময় একজন ম্যাজিস্টেটের সামনে থাকার কথা থাকলে ওই সময় ছিলেন না কোনো ম্যাজিস্টেট। জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়ার সরকারি কোরক হোমের আবাসিক কিশোর লাবু ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্টে এই রকম একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সরকারি সহকারি ও মৃত কিশোরের পক্ষের আইনজীবী। সার্কিট বেঞ্চের পেশ করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদৌও লাবু ইসলামের কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই কারণে কিশোরের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করার বিষয়ে লাবু ইসলামের মায়ের সম্মতি নেওয়া হয়েছে সার্কিট বেঞ্চের তরফে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চুরান্ত নির্দেশ দেবে বেঞ্চ। বুধবার সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির পরে এমনটাই জানালেন সার্কিট বেঞ্চের সহকারি সরকারি আইনজীবী অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে ১৫ তারিখ হঠাৎ করেই হোমের একটি ঘর থেকে লাবু’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি দ্বন্দ্বে জরিয়ে পড়া নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেছিলেন লাবু ইসলামের আইনজীবী সুমন শেহানবিশ। কিন্তু সরকারি হোমে এই নাবালকের আত্মহত্যার খবর আদালত জানার পরেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে এসেছে। লাবু ইসলামের আইনজীবী সুমন শেহানবিশ বলেন, “তদন্তে একাধিক গাফিলতি রয়েছে। আদালত আজ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে।”