Dev, Ghatal, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঘাটাল এসডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক সাংসদ দেবের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই: বুধবার দুপুরে ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়ে ঘাটাল এসডিও অফিসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা ও জনপ্রতিনিধিরা।

বৈঠক শেষে দেব বলেন, ‘এবার ৬০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তার সঙ্গে ডিভিসি জল ছাড়ছে। ১৯ জুন থেকে ঘাটাল জলমগ্ন হয়ে আছে। জল কমছেই না। তবে আমাদের দেখতে হবে, সাধারণ মানুষকে ঠিকঠাক উদ্ধার করা হয়েছে কি না, ত্রাণ পৌঁছচ্ছে কি না….আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি প্রশাসন খুব ভালোভাবে উদ্ধার কাজ সামলেছে।’

বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে বন্যায় দুর্গতদের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩০০-র বেশি কমিউনিটি কিচেন করা হয়েছে বলে দাবি করেন সাংসদ। কুইক রেসপন্স টিমের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি। তবে, বন্যার মাঝে স্বভাবতই বারবার উঠে আসছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ।

দেব বলেন, ‘অনেকগুলি সুইস গেটের কাজ চলছে। ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ সামনের মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ তবে মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

সাংসদের বক্তব্য, ‘আমরা দেখেছি, মাস্টার প্ল্যানের বিরুদ্ধে মিছিল বের হয়। জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আমরা নতুন করে প্ল্যান করি। সেখানে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ কম জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যতটা সম্ভব কম জমি নিয়ে কাজ করা হবে।’

তবে দেবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘বছরে একবার বন্যা আসে, বছরে একবার দেব আসেন। আর পাঁচ বছরে একবার পাগলু ড্যান্স করে চলে যান, মানুষ ভোট দিয়ে দেয়।…একজন অসফল সাংসদ। ঘাটালের লোক নিজের ছেলে ভেবে ভোট দিয়েছিল। উনি মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন।’ পাল্টা দেব বলেন, ‘আমার কোথাও যেন মনে হচ্ছে, দিলীপ দা এবার খড়্গপুরে দাঁড়াতে চান। তাই আমাকে সফট টার্গেট করে প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছেন। তবে, আমি সত্যি বলছি, আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।’

ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য শিবির পরিদর্শনে হাজির ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ও জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দপ্তরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা। ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *