আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি:ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে চলন্ত বৈদ্যুতিক চুল্লি। নিহত সেনাদের ফটাফট ট্রাকে তুলে মুহূর্তে মধ্যে চুল্লিতে পুড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়া। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে যুদ্ধের রুশ বাহিনীর কতজন সৈনিক খতম হচ্ছে তার রাতে কোনো প্রমাণ না থাকে, সেই কারণেই এই কৌশল নিয়েছে পুতিন সরকার।
বড় বড় ট্রাকের মধ্যে যেমন বোঝাই করা রয়েছে বিপুল যুদ্ধাস্ত্র । তেমনি বিরাট বিরাট ট্রাকের মধ্যে রয়েছে চুল্লিও। ইউক্রেনের রাস্তায় ঘুরছে এমনই ট্রাক। ক্ষত বিক্ষত রুশ সেনার নিথর দেহ দেখলেই ট্রাকে তুলে মুহূর্তে চুল্লিতে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অস্ত্র বোঝাই গাড়ি ছাড়াও চলন্ত শ্মশান কার্যত ঘুরে বেড়াচ্ছে ইউক্রেনের রাস্তায়। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চলমান শ্মশানের একাধিক ছবি ফুটে উঠেছে নেট মাধ্যমে। দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর গোড়া থেকেই নাকি অস্ত্র বোঝাই ট্রাকের আড়ালে এমন চুল্লির ট্রাক নেমেছিল ইউক্রেনের রাস্তায়। আরও দাবি করা হচ্ছে শুধু নিহত রুশ সেনাই নয় ইউক্রেনে সাধারণ মানুষজনের দেহও ট্রাকে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল থেকে খারকিভের ওপর ভয়ঙ্কর আঘাত হেনেছে রাশিয়া। কিয়েভে পরপর বিস্ফোরণ হয়েছে। তেলের ট্যাংকার ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। গ্যাসের পাইপ লাইন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিয়েভের রাস্তায় মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সেনাবাহিনী। মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর, উচু বিল্ডিং। শহরে এখন শ্মশানে স্তব্ধতা। পোড়া ছাই আর কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ। শনিবার দুপুরেই কিয়েভে ঢুকে পড়ে রুশ বাহিনী তারপর থেকেই শুরু হয়েছে হামলা। প্রাণ দিয়ে দেশকে বাঁচাতে মরিয়া ইউক্রেনের জওয়ানরাও।
রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কে রাজপথ ভরে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাও।