আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৪ ডিসেম্বর: অর্শরোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিল ছেলে।চিকিৎসাও চলছিল।অস্ত্রোপচার হয়েছে দু দু-বার।তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি।বুধবার প্রবল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পরলে তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ছেলের এই মৃত্যুসংবাদ সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তার ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মা। ঘটনা বেলদা থানার সাউরির আগরবাড় এলাকার।
জানাগেছে, মৃত রাজকুমার রায় (৪৪) দীর্ঘদিন ধরে অর্শ রোগে ভুগছিলেন। মাস খানেক আগে মেদিনীপুরে এক নার্সিংহোমে তার অস্ত্রোপচার করানো হয়। তার পরেও সেই রোগ সারেনি।এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার কটকের এক নার্সিংহোমে। সেখানে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করানো হয়। তারপর বাড়ি ফিরে দশ থেকে বারো দিনের মধ্যেই পুনরায় সে অসুস্থতা বোধ করেন। বুধবার প্রবল যন্ত্রণা সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অসুবিধা হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুসংবাদ বাড়িতে এসে পৌঁছানোর পর শোকে ভেঙে পড়েন তার বৃদ্ধ মা আভা রায় (৮৫)। তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ির পেছনে একটি তেঁতুলগাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন।