আমাদের ভারত, ৬ মে : দীর্ঘক্ষণ লড়াই পর এ যাবৎ কালে কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে সবচেয়ে বড় সাফল্য মিলল। হিজবুল মুজাহিদ্দিনের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা রিয়াজ নায়কু এনকাউন্টারে খতম বলে জানা গেছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের তরফে ওই জঙ্গিনেতা তাদের জালে ধরা পড়েছে বলে টুইট করে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন জায়গায় তিনটি অপারেশন শুরু করে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। আগে থেকেই খবর ছিল সেনার কাছে। সেই মতো অবন্তীপুরার বেইগপুরা গ্রাম নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী ঘিরে ফেলে মঙ্গলবার রাতে। শুরু হয় ব্যপক গুলির লড়াই। সকালে জানানো হয় সেনার গুলিতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি নেতা লুকিয়ে থাকা ওই বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে জঙ্গিনেতা রিয়াজ বেইগপোরা গ্রামে নিজের বাড়িতে আসে। তার সঙ্গে একদল জঙ্গি ছিল এই খবর সেনার কাছে ছিল। ফলে সেই মতো অভিযান শুরু করে সেনা।
মঙ্গলবার রাতে পুলওয়ামা জেলার তিনটি জায়গায় অপারেশন শুরু করে সেনা পুলিশের যৌথ বাহিনী। এখনো পর্যন্ত অবন্তিপুরার স্যারশালি গ্রামে অপারেশন চলছে। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য মিলেছে। জানানো হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডার ধরা পড়েছে তাদের জালে। তবে এখনো সেখানে চলছে গোলাগুলি।
রিয়াজ নায়কু কাশ্মীরের অন্যতম খতরনাক জঙ্গী নেতা। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতার মাথার দাম ১২ লাখ টাকা। হিজবুল মুজাহিদিনের এ++ ক্যাটাগরির জঙ্গি নেতা রিয়াজের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতামূলক অপরাধের তালিকা রয়েছে।
২০১৬ জানুয়ারিতে প্রথমবার সামনে আসে রিয়াজ। তারিক আহমেদ ভাট নামে এক জঙ্গি নেতা শেষকৃত্য করেছিল সে। একটি ভিডিওতে দেখা যায় সে তারিকের দেহের পাশে দাঁড়িয়ে এ কে-৪৭ থেকে শূন্যে গুলি ছুড়েছিল। জঙ্গিদের মৃত্যুর পর জঙ্গী নেতারা এভাবেই সম্মান জানান। এরপর ২০১৭ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিওতে তাকে দেখা যায়।
গ্রামের স্কুলের শিক্ষক ছিলেন রিয়াজ। ঝোঁক ছিল রঙ তুলিতেও। কিন্তু এই সব কিছুকে পিছনে ফেলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে নেয় রিয়াজ। জম্মু-কাশ্মীরের বহু শিক্ষিত যুবকের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি তৈরি করার কাজ করে গেছে রিয়াজ। চলতি বছরে প্রায় ৩৫ জন কাশ্মীরী তরুনকে নিজের দলে টেনেছিল রিয়াজ বলে খবর।