আমাদের ভারত, ২৬ মে: তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে আজ। কাকদ্বীপে সংগঠনের কর্মসূচিতে গিয়ে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এই বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় ২০২৪ এর আগে রাজ্যের বেশিরভাগ মন্ত্রীই জেলে যাবেন। তাই কারা জেলে যাবেন আর কাদেরকে দিয়ে কাজ চালানো হবে সেটা ঠিক করতেই এই মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে।
বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ মন্ত্রি তো এখন জেলে থাকবে। তার প্রস্তুতির জন্যেই এই বৈঠক। মন্ত্রিসভার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে যাবেন। উনি তো অনেকের নাম বলে দেবেন। তখন মুশকিল হয়ে যাবে। তাই এখন থেকে মন্ত্রী ঠিক করে রাখছে।”
এসএসসি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে, “বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, শুধু এসএসসি আর কলেজ নিয়োগই নয়। ফুড সাপ্লাই সহ বন বিভাগে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে তাতেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছেড়ে বিজেপিতে এলে তখন তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নিয়োগ দুর্নীতি স্বীকার করেছিলেন। তাহলে তার তদন্ত কেন হচ্ছে না? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এই বড় চোর ধরতে তদন্ত করাক।
রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সামনে চলে আসছে। তার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল সরকার। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও কাকদ্বীপ চিটফান্ড কাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যের নেতৃত্বে কাকদ্বীপ নতুন রাস্তা থেকে সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মিছিল করে ডেপুটেশন জমা দেয় কয়েকশো বিজেপি সমর্থকরা। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।