আমাদের ভারত, ১৩ আগস্ট: লেক দর্শনার্থীদের কাছে প্রবীণ এবং অতি-বয়স্ক প্রাতঃভ্রমণকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করার আবেদন করল প্রাতঃভ্রমণকারীদের সংগঠন। সেই সঙ্গে সংগঠনের তরফে এ ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে কেএমডিএ-র কাছেও।
পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ এবং রবীন্দ্র সরোবরের ‘মর্নিং ওয়াকার্স গিল্ড’-এর আহ্বায়ক রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে প্রবীন নাগরিকদের জন্য চিহ্নিত সংরক্ষিত আসনে বসার আসনের জন্য কেএমডিএ-র কাছে আবেদন করছেন। এই সঙ্গে তাঁর আবেদন—
*বয়স্ক এবং অতি-বয়স্ক নাগরিকদের যারা হ্রদের ধারে সকালে হাঁটছেন, তাদের সাথে আলাপচারিতা করার সময় অন্যান্য দর্শনার্থীদের সম্মান এবং বিবেচনা দেখানো উচিত।
*ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করুন— ভিড় বা তাড়াহুড়ো না করে আরামে হাঁটার জন্য বয়স্কদের পর্যাপ্ত জায়গা দিন। বয়স্কদের প্রতি মনোযোগ দিন। হাঁটার সময়ে বয়স্কদের যাঁরা ধীরে ধীরে হাঁটছেন তাঁদের দিকে নজর রাখুন।
*শব্দের মাত্রা— যাঁরা তাদের হাঁটার উপর মনোযোগ দিচ্ছেন বা আশেপাশের পরিবেশ উপভোগ করছেন, তাঁদের চমকে দেওয়া বা বিরক্ত করা এড়াতে শব্দের মাত্রা কম রাখুন।
*স্বাস্থ্য এবং গতিশীলতা— বয়স্কদের চলাফেরার সমস্যা বা স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ থাকতে পারে। তাদের তাড়াহুড়ো করতে বা তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যের চেয়ে বেশি কিছু করতে চাপ দেবেন না।
*ভাগ করা স্থান সচেতনতা— বয়স্ক এবং অন্যান্য হ্রদ দর্শনার্থী উভয়েরই ভাগ করা স্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
*গ্রহণযোগ্যতা—বয়স্কদের জন্য উপযুক্ত, যেমন বিশ্রামের আসন বা চলাচলের সহজ পথ।
সোমেন্দ্র মোহনবাবু জানান, “৫০০০ এরও বেশি প্রবীন এবং অতি প্রবীন নাগরিক নিয়মিত জাতীয় হ্রদ রবীন্দ্র সরোবর যান কিন্তু ভোরের দিকে তাঁরা অনেকে প্রাতঃভ্রমণের পরে বসতে সমস্যায় পড়েন। প্রচুর দর্শনার্থী রবীন্দ্র সরোবর হ্রদের ধারে সকালের হাঁটা, জগিং, যোগব্যায়াম, শারীরিক ব্যায়াম এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যকলাপে অংশ নেন। সুস্থতার জন্য তাজা বাতাসে শ্বাস নিতে যান। অনেকে প্রায়শই প্রবীণ নাগরিকদের বসার জায়গা দিতে ভুলে যান।”