আমাদের ভারত, ১ সেপ্টেম্বর: যারা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদের আগামী দু’বছর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া যেতে পারে। দেশের শীর্ষ আদালতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি করা হয়েছিল দেশে। তার ফলে অনেকের ব্যবসার হাল মারাত্মক খারাপ। এমনকি অনেকে দেউলিয়া হতে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের ঋণ শোধ করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া যেতে পারে। আশা করা যায় এতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন,রক্ষা পাবে তাদের ব্যবসা।
তবে এর সাথে প্রশ্ন উঠেছে এই দুবছরে সরকার কি ঋণের উপর সুদেও ছাড় দেবে? সরকার জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাংক ও ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে সাওয়াল করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে অনুমতির দিক, যাতে রিজার্ভ ব্যাংক ও ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সুদ মুকুবের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বিরাট চাপে রয়েছে। জিডিপি কমেছে ২৩ শতাংশের বেশি।
এই বিষয়ে বুধবার ফের শুনানি হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানিয়ে কোনো হলফনামা বিচারপতিদের কাছে পৌঁছায়নি। গত সপ্তাহে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল সুদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিচারপতিরা মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্র আরবিআইকে ঢাল করতে পারবে না।
তবে দেশের মুখ্য উপদেষ্টা কে বি সুব্রমন্যম অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ তলানীতে পৌঁছানোর পরে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ রেলে পণ্য পরিবহন বেড়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর হওয়ায় বিকাশের হার কমবে অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু আশার কথা দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, রেলে কি পরিমাণে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে তা থেকে আন্দাজ করা যায় অর্থনীতির হাল কেমন। বর্তমানে রেলওয়ে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ গত বছর জুলাই মাসের ৯৫%। গত বছরের তুলনায় এবছর আগস্টের প্রথম ২৬ দিনের পণ্য পরিবহন হয়েছে ৬ শতাংশ বেশি।

