আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৩ আগস্ট: ‘মনসা পুজো’। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম একটি পুজো। বীরভূমের রামপুরহাট শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লেটপাড়ায় মনসা পুজো এলাকার বড় পুজো হিসাবে পরিচিত। ফলে পুজোয় বহু মানুষের সমাগম হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।

রামপুরহাট পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনসা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার রাতে। কবে থেকে এলাকায় এই পুজোর সূচনা হয়েছিল কেউ এখন আর বলতে পারেন না। তবে কয়েক পুরুষ ধরে যে এলাকার মা মনসার আরাধনা করে আসছেন সে কথা জানিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ লেট বলেন, “আমরা বাবা, ঠাকুরদাদের মনসা পুজো করতে দেখেছি। এখন আমরা সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। শুধু পাড়া নয়, শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আমাদের এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার করোনার কারণে মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সচেতনতা মূলক পোষ্টার দেওয়া হয়েছে মন্দিরের গায়ে। ভিড় এড়াতে প্রজেক্টর মেশিনের মাধ্যমে পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়”। এলাকার মানুষের কাছে মনসা পুজো বড় উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিবাহ সূত্রে বাইরে থাকা মেয়েরাও বাপের বাড়ি চলে আসে। তবে লকডাউনের কারণে এবার অনেকেই আসতে পারেনি। ফোনে সেই আক্ষেপ জানিয়েছে তারা। তবে পুজোয় কোনও খামতি ছিল না। পুজোয় সামাজিক বিধি মানা হয়েছে যথেষ্ট।

গৃহবধূ মহুয়া ঘোষ বলেন, “মা মনসার পুজো এই পাড়ার বড় পুজো। দুর্গা পুজোয় মেয়েরা বাড়ি না ফিরলেও এই পুজোয় সকলে বাপের বাড়িতে ফেরেন। আমাদের কাছে মনসা পুজোয় বড় পুজো”। রীতি মেনে এবারও পুজোর শেষে রাতে ছাগ বলি দেওয়া হয়েছে।

