সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৭ আগস্ট: বিশ্ব মহামারী করোনার প্রভাব পড়ল পুরুলিয়া জেলার অন্যতম বড় লোক উৎসব মনসা পূজায়। পূজার আয়োজনে কাটছাঁট করতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। এক প্রকার জৌলুস ছাড়াই জেলার অন্যতম বড় এই লোক উৎসবের আয়োজন হল।

জেলার বিভিন্ন কুমারপাড়ায় প্রতিমা থেকে গেল। মণ্ডপে স্থান পেলেন না মনসা। পুরুলিয়া ও ঝালদা শহরে এই ছবি দেখা দিয়েছে। ঝালদার এক শিল্পী অন্যবার ১০০টি প্রতিমা গড়েন। এবার তিনি ৪০টি তৈরি করেছেন। অথচ, বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০টি, সেগুলি উপযুক্ত দাম পাননি বলে তাঁর আক্ষেপ ও হতাশা প্রকাশ করেন এদিন। সব মৃৎ শিল্পীদের একই দশা দেখা গিয়েছে।
বিশ্ব মহামারী যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সবকিছু কেড়ে নিয়েছে এবার। মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে পূজার সামগ্রী বিক্রেতা, পুজোর জন্য হাঁস, পাঠা, বিক্রেতা সবারই চোখে-মুখে ফুটে উঠল হতাশা। নোভেল করোনা ভাইরাস জেলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি খারাপ করে দিয়েছে গত ৫ মাসে। তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে এই পূজোয়।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় উৎসবের আকার নেয় মনসা পূজাকে ঘিরে। পরম্পরা ও রীতি মেনে উৎসাহের সঙ্গে নাগ দেবীর আরাধানায় মাতেন রাজ্যের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়া। কয়েক দিন ধরেই পুজোর প্রস্তুতি নেন পুজোর আয়োজকরা। শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তির দিন মূলত এই পুজো হয়ে থাকে। পরম্পরা মেনে প্রাচীন এই পুজো উৎসবের আকার নেয়। ক্লাব এবং সার্বজনীন মনসা পুজো দেখতে পাওয়া যায় পুরুলিয়া শহর সহ জেলার সর্বত্র। তবে এবার সবটাই ম্যাড় ম্যাড়ে।

