শিক্ষায় অর্থ বাধা হবে না, আমি নিজে দরিদ্র মেধাবী যে কোনও ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার দ্বায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৫ সেপ্টেম্বর: “শিক্ষায় অর্থ বাধা হবে না, মেধা থাকলে সেই মেধাকে তুলে আনার দ্বায়িত্ব আমাদের। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা সহায়তা পাচ্ছে। হাবড়ার বিধায়ক হিসেবে আমি নিজে দরিদ্র মেধাবী যে কোনও ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার দ্বায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।” শিক্ষক দিবসে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করে সাংবাদিকদের বললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান হাবড়ায়। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে ৮০০ শিক্ষক শিক্ষিকাকে দেওয়া হল সম্বর্ধনা।

হাবড়া বিধানসভা এলাকায় শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শনিবার বিকেলে করা হল শিক্ষক দিবসের একটি বিশেষ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন হাবড়া এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ মঞ্চে উপস্থিত পৌর প্রতিনিধিরা। এরপর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক -শিক্ষিকা ছাড়াও এলাকার গৃহ শিক্ষকদের এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিভিন্ন বয়সের আট শতাধিক শিক্ষক -শিক্ষিকাকে ব্যাচ পরিয়ে, মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফুল ও মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির তরফে হাবড়ার ‘কলতান’ অনুষ্ঠান গৃহে দূরত্ববিধি বজায় রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্র গড়ার কারিগর হল শিক্ষক শিক্ষিকারা, একজন ভালো ছাত্র তৈরি হতে পারলে তার ভালো ফল ভোগ করে সমাজের মানুষই। তাই ছাত্র গড়ার কারিগরদের জানাই বিনম্র প্রণাম। পাশাপাশি তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যেও বলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে, শাসন তারা করতেই পারে। এদিকে অনুষ্ঠানের এসে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ছাত্র গড়ার কারিগরদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা খুশি। অন্যদিকে মন্ত্রীর উদ্যোগে শিক্ষক দিবসের দিনে সম্মানিত হয়ে খুশি এলাকার প্রবীণ ও নবীন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *