আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৯ নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে পুলিশি ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে বালুরঘাটে থানার সামনে থেকেই দুঃসাহসিক ছিনতাই দুষ্কৃতিদের। লক্ষাধিক টাকা হারিয়ে মাথায় হাত হাসপাতাল কর্মীর। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য বালুরঘাটে। প্রকাশ্য দিনের আলোতে থানার সামনে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। উঠেছে সদর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন। মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে রান্নার কাজে নিযুক্ত এক কর্মী তার জমানো টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়ে যেতেই রাস্তায় পড়েন দুষ্কৃতিদের ছোবলে।
ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ছবিকে হাতিয়ার করেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিহারের দ্বারভাঙা এলাকার বাসিন্দা মনু মণ্ডল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই নিযুক্ত রয়েছেন রান্নার কাজে। কাজ করে অল্প অল্প করে জমানো টাকা বাড়ি তৈরির জন্য এদিন ব্যাঙ্ক থেকে তুলেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ছেলে মহাদেব মন্ডল এবং নাতি মোহন মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন হাসপাতালে কর্মরত ওই বৃদ্ধ। ব্যাঙ্কের সামনে থেকে একটি টোটোতে বসে যাবার সময় তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় মোটর বাইকে করে আসা দুই দুষ্কৃতী। থানার সামনে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় কিছুটা হতবাক হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ ও তার বাড়ির লোকেরা। অবাক হন টোটো চালকও। ঘটনার পরেই বিষয়টি জানিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই হাসপাতাল কর্মী। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচলতি মানুষ।
হাসপাতাল কর্মী মনু মন্ডলের ছেলে মহাদের মণ্ডল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাবা তার আয়ের কিছু অংশ ব্যাঙ্কে জমিয়েছিলেন। বিহারের দ্বারভাঙায় বাড়ি তৈরি করবেন বলে ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা তুলে ফিরছিলেন তারা। ব্যাঙ্ক থেকে কিছুটা দূরে থানার সামনে দুই দুষ্কৃতী মোটর বাইকে এসে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নাতি মোহন মণ্ডল বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই
দুষ্কৃতিরা তাদের কাছে রাখা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। টোটো থেকে নেমে বাইকে থাকা ওই দুষ্কৃতিদের দৌড়ে ধরা সম্ভব হয়নি।