আমাদের ভারত,১৫ মার্চ: সূতোর উপর ঝুলছে কমলনাথ সরকারের ভবিষ্যত। সোমবারই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা আস্থা ভোট হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে কমলনাথ সরকারকে। এক কথায় কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে কমলনাথ সরকারের। সোমবার বাজেট অধিবেশনের আগেই হবে আস্থা ভোট।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোট করার দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই, রাজ্যপাল লালজী টন্ডন, অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন আস্থা ভোট করানোর। এমনিতে সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশন শুরুর কথা ছিল। তবে রাজ্যপালের নির্দেশ তার ভাষণের পরেই করতে হবে আস্থা ভোট।
এদিকে কমল নাথ সরকার অমিত শাহকে চিঠি লিখে, অনুরোধ করেছেন আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করে কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ককে মুক্ত করুন। তবে জানা গেছে রবিবার সকালে জয়পুর থেকে ভোপালে ফিরেছেন কংগ্রেসের বিধায়করা তাদের রাখা হয়েছে ভোপালের ম্যারিয়ট হোটেলে। বিজেপির নেতা কৌটিল্য ভুরিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে ১১২ জনেরও বেশী বিধায়ক রয়েছে।
পরিস্থিতি বিচার করে আস্থা ভোট নিয়ে আশঙ্কিত কংগ্রেস শিবির। ২২ জন বিধায়ক চলে যাওয়ায় মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার আদৌ টিকবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বর্তমানে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২২৮।সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গেলে দরকার ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ যদি পদত্যাগী ২২ বিধায়কের পদত্যাগ গ্রহণ করেন তাহলে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মাত্র ৯২ জন বিধায়ক। সম্প্রতি দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছে কংগ্রেস। তবে ওই বৈঠকে বসপা ২ এবং সপার এক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। তবে ছিলেন নির্দলের চার বিধায়ক। তাই ওই চার বিধায়ক যদি কংগ্রেসকে সমর্থন জানায় তাহলে কংগ্রেসের হাতে বিধায়ক সংখ্যা হবে ৯৬। অন্যদিকে ২২ জন বিধায়ক যদি পদত্যাগ গৃহীত হয় তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৬। আর তাতে বিজেপির থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাবে কংগ্রেস। আর তাতে আস্থা ভোট হলে কমল নাথ সরকারের হার প্রায় নিশ্চিত।