স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৪ ফেব্রুয়ারি:
বিয়ের প্যান্ডেল করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি মোহনবাগানের সমর্থক। যারা জানতো না তারাও বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে এসে প্যান্ডেল দেখেই বুঝে গেল যে বর কট্টর মোহনবাগানের সমর্থক।
পাত্র শান্তিপুর দু’নম্বর রেলগেটের স্কুলশিক্ষক রথীন বিশ্বাস, আর পাত্রী প্রিয়াংকা বিশ্বাস কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা। পাত্র হচ্ছে মোহনবাগানের কট্টর সমর্থক, আর জানা গেছে পাত্রী তার বিপরীত ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। পাত্র তাঁর প্রিয় দলের কথা বিয়ের অনুষ্ঠানেও ভুললেন না। বিয়ের গেট থেকে শুরু করে মডেল, পাত্রীর মাথার ওপরেও আছে মোহনবাগানের লোগো। এমনকি খাবার মেনু কার্ডেও রয়েছে পালতোলা নৌকা দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা। এ যেন এক অভিনব আয়োজন।
পাত্র রথীন বিশ্বাস বলেন, আমার পুরো পরিবার মোহনবাগান। তাই বিয়েতে মোহনবাগান থাকবে না এটা হতেই পারে না। সেই ভাবনা থেকেই বিয়েবাড়িতে মোহনবাগানের লোগো দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমরা প্যান্ডেল সাজিয়েছি। আর উনিশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা আবার প্রথমবারের মতো জিতব, আগের বার যেমন হারিয়েছি আগামীতেও হারাবো।
পাত্রী প্রিয়াংকা বিশ্বাস বরের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে হেসে বলেন আমরা বংশপরম্পরায় ইস্টবেঙ্গল। মাঝে মাঝে আমাদের খেলা নিয়ে গন্ডগোল হলে ও আবার মিল হয়ে যায়। খেলাটা আমরা ঘরের মধ্যে নিয়ে আসি না।
এখন মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল এক বাড়িতে, যেন একদিকে ইলিশ মাছ আর অপরদিকে চিংড়ি। এখন সংসারে কার প্রভাবটা বেশি হবে সেটা ভেবে মুচকি হেসেছে নিমন্ত্রিতরা। প্রথম রাউন্ডে অবশ্য মোহনবাগানের সমর্থক এগিয়ে গেল পরের রাউন্ডে কি হবে তা ভেবে মুচকি হাসছে তারা।